বাগান বিলাস গাছ যাকে ইংরেজিতে “বোগেনভিলিয়া” বলা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় সজ্জা উদ্ভিদ যা বাংলাদেশে বহুল পরিচিত। এর রঙিন ফুল এবং সহজ পরিচর্যার জন্য এই গাছটি বাগানপ্রেমীদের মধ্যে অত্যন্ত প্রিয়। বাগান বিলাস গাছের ফুলের রঙের বৈচিত্র্য ও মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য যেকোনো বাগান বা বাড়ির আঙ্গিনাকে সজীব করে তোলে। এই গাছটি শুধুমাত্র বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না এটি পরিবেশের জন্যও উপকারী। ২০২৪ সালে বাগান বিলাস গাছের দাম, পরিচর্যা এবং এর চাষ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বাগান বিলাস গাছ
বাগান বিলাস গাছ মূলত দক্ষিণ আমেরিকার একটি উদ্ভিদ যা সারা বিশ্বের গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। এর বৈশিষ্ট্য হলো এর লম্বা লতানো ডাল এবং রঙিন বৃন্তবাহিত ফুল। বাগান বিলাস গাছের ফুল মূলত গোলাপি, সাদা, লাল, কমলা এবং বেগুনি রঙের হয়। এই গাছের পাতা সবুজ এবং গোলাকৃতি যা গাছের সৌন্দর্য বাড়ায়।
বাগান বিলাস গাছ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন বামন প্রজাতি এবং লতানো প্রজাতি যা বিভিন্ন ধরনের বাগানের জন্য উপযুক্ত। এই গাছের আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হলো এটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং কম যত্নে ফুল ফোটাতে সক্ষম। বাগান বিলাস গাছের বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে যেমন:
- Bougainvillea glabra
- Bougainvillea spectabilis
- Bougainvillea peruviana
প্রতিটি প্রজাতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এদের ফুলের রঙ ও আকারে ভিন্নতা দেখা যায়।
বাগান বিলাস গাছের দাম ২০২৪
২০২৪ সালে বাগান বিলাস গাছের দাম কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে বিশেষ করে সাইজ ও প্রজাতি অনুযায়ী। ছোট আকারের বাগান বিলাস গাছের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। বড় আকারের গাছের দাম ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। প্রজাতি অনুযায়ী দাম ভিন্ন হয় যেমন রঙিন ফুলের গাছের দাম সাধারণত বেশি হয়।
বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের উপর ভিত্তি করে দাম ওঠানামা করতে পারে তাই ক্রয়ের সময় একটু যাচাই করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ গ্রীষ্মকালে যখন এই গাছের চাহিদা বেশি থাকে তখন দাম কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। তবে শীতকালে বা বর্ষাকালে দাম কিছুটা কম হতে পারে।
বাগান বিলাস গাছের দাম নির্ধারণকারী ফ্যাক্টরসমূহ
বাগান বিলাস গাছের দাম নির্ধারণে কিছু মূল ফ্যাক্টর কাজ করে। এর মধ্যে প্রধান ফ্যাক্টরগুলো হলো:
- সাইজ ও উচ্চতা: ছোট গাছের দাম সাধারণত কম হয় তবে বড় ও পূর্ণবয়স্ক গাছের দাম বেশি হয়।
- প্রজাতি ও বৈচিত্র্য: বাগান বিলাস গাছের বিভিন্ন প্রজাতি ও বৈচিত্র্য রয়েছে। কিছু প্রজাতি খুবই দামী কারণ তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার প্রয়োজন বেশি।
- ফুলের রঙ: রঙিন ফুলের গাছের দাম সাধারণত বেশি হয়। লাল, গোলাপি, কমলা এবং বেগুনি রঙের ফুলের গাছের দাম বেশি হতে পারে।
- মৌসুম: গ্রীষ্মকালে বাগান বিলাস গাছের চাহিদা বেশি থাকে তাই এই সময়ে দাম কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। শীতকালে বা বর্ষাকালে দাম কম হতে পারে।
- জায়গা: স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও বাগান বিলাস গাছের দাম ভিন্ন হতে পারে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কিছুটা বেশি দাম হতে পারে তবে আপনি ঘরে বসে অর্ডার করতে পারেন যা সময় সাশ্রয়ী।
বাগান বিলাস ফুল গাছ দাম কত
ফুল গাছ হিসেবে বাগান বিলাসের মূল্য অন্যান্য ফুল গাছের তুলনায় কিছুটা বেশি হতে পারে। কারণ এর রঙিন ফুল এবং লতানো বৈশিষ্ট্য এটি অন্যান্য গাছের থেকে আলাদা করে তোলে। সাধারণত ফুল গাছ হিসেবে বাগান বিলাসের দাম ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে হতে পারে। বিভিন্ন রঙ ও আকারের উপর ভিত্তি করে এই দাম পরিবর্তিত হয়।
লাল, গোলাপি এবং কমলা রঙের ফুলের গাছের দাম সাধারণত বেশি হয় কারণ এই রঙের ফুল বেশি জনপ্রিয় এবং সুন্দর। এছাড়া ফুলের সংখ্যা এবং গাছের স্বাস্থ্যও দাম নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি সুস্থ ও ভাল পরিচর্যা করা গাছের দাম সাধারণত বেশি হয়।
বাগান বিলাস গাছ কোথায় পাওয়া যায়
বাংলাদেশে বাগান বিলাস গাছ বিভিন্ন নার্সারি ও বাগান কেন্দ্র থেকে পাওয়া যায়। ঢাকার উদ্যানতত্ত্ব নার্সারি, চট্টগ্রামের জাতীয় উদ্যান নার্সারি এবং সিলেটের গার্ডেন সেন্টারে এই গাছ সহজেই পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন দারাজ, আজকের ডিল এবং অন্যান্য বাগান সম্পর্কিত ওয়েবসাইট থেকে বাগান বিলাস গাছ অর্ডার করা যায়।
অনলাইন ক্রয়ে সুবিধা হলো ঘরে বসেই আপনি পছন্দের গাছটি পেতে পারেন তবে মাঝে মাঝে কিছু অসুবিধা হতে পারে। যেমন ডেলিভারির সময় বেশি লাগা বা গাছের মান নিয়ে সমস্যা। এছাড়াও স্থানীয় হাট-বাজারেও বাগান বিলাস গাছ পাওয়া যায় যেখানে আপনি সরাসরি গাছটি দেখে কিনতে পারেন। এই ক্ষেত্রে দাম কিছুটা কম হতে পারে।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ক্রয়
অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাগান বিলাস গাছ ক্রয় করা বেশ সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী। আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে গাছের ছবি এবং বিবরণ দেখে অর্ডার করতে পারেন। এছাড়া অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ছাড় এবং অফারও পাওয়া যায় যা ক্রেতাদের জন্য সুবিধাজনক। তবে অনলাইন ক্রয়ে কিছু সমস্যাও থাকতে পারে যেমন ডেলিভারি সময় বেশি লাগা, গাছের মানের সমস্যা বা ক্ষতিগ্রস্ত গাছ পাওয়া। তাই অনলাইন ক্রয়ের সময় ভালো রিভিউ পড়ে এবং বিশ্বস্ত সাইট থেকে অর্ডার করা উচিত।
স্থানীয় নার্সারি ও হাট-বাজার
স্থানীয় নার্সারি এবং হাট-বাজার থেকে বাগান বিলাস গাছ কিনলে আপনি সরাসরি গাছটি দেখে নিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে গাছের মান নিশ্চিত করা সহজ হয় এবং দামও কিছুটা কম হতে পারে। স্থানীয় নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের বাগান বিলাস গাছ পাওয়া যায় এবং আপনি নার্সারির কর্মীদের থেকে পরিচর্যা সম্পর্কে পরামর্শও পেতে পারেন। এছাড়া স্থানীয় হাট-বাজারে দাম কিছুটা কম হতে পারে এবং দরাদরি করার সুযোগ থাকে।
বাগান বিলাস চাষ পদ্ধতি
বাগান বিলাস গাছ চাষ করা খুব সহজ। প্রথমে ভালো মানের মাটি ও সার নির্বাচন করুন। এই গাছের জন্য বেলে মাটি সর্বোত্তম যা পানি সহজে শোষণ করতে পারে। বাগান বিলাস গাছ রোপণের জন্য প্রথমে গর্ত তৈরি করে তারপর মাটি এবং সার মিশিয়ে গাছের শিকড়টি ভালোভাবে বসিয়ে দিন।
পানির প্রয়োজন অনুসারে নিয়মিত পানি দিন তবে পানি যেন জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। গ্রীষ্মকালে গাছের চারপাশে খড় বা মাল্চ দিয়ে ঢাকা দিলে মাটির আর্দ্রতা বজায় থাকে। এই গাছের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রয়োজন। তাই এটি এমন স্থানে লাগানো উচিত যেখানে পর্যাপ্ত আলো পৌঁছায়।
মাটি ও সার ব্যবহার
বাগান বিলাস গাছের জন্য বেলে মাটি সর্বোত্তম। কারণ এটি পানি সহজে শোষণ করতে পারে এবং গাছের শিকড়কে সঠিক পুষ্টি প্রদান করে। মাটির pH মান ৫.৫ থেকে ৬.৫ হওয়া উচিত। সার হিসেবে জৈব সার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে গাছ রোপণের সময় কিছুটা কম্পোস্ট বা জৈব সার মাটির সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া গাছের বৃদ্ধির সময় প্রতি মাসে একবার সার প্রয়োগ করতে পারেন।
পানি দেওয়ার পদ্ধতি ও সময়
বাগান বিলাস গাছের পানি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। এই গাছের জন্য নিয়মিত পানি দেওয়া প্রয়োজন তবে অতিরিক্ত পানি দেওয়া উচিত নয়। মাটির শীর্ষ স্তর শুকিয়ে গেলে পানি দিতে হবে। গ্রীষ্মকালে দিনে দু’বার পানি দেওয়া উচিত এবং শীতকালে দিনে একবার পানি দেওয়া যথেষ্ট। গাছের শিকড় যেন সবসময় ভেজা না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
সূর্যের আলো ও তাপমাত্রা
বাগান বিলাস গাছের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যের আলো প্রয়োজন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা সরাসরি সূর্যের আলো পাওয়া উচিত। গাছটি এমন স্থানে রোপণ করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত আলো পৌঁছায়। গ্রীষ্মকালে গাছের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝে মাঝে পানি স্প্রে করতে পারেন।
বাগান বিলাস গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ
বাগান বিলাস গাছের পরিচর্যা করতে হলে নিয়মিত ছাঁটাই করা প্রয়োজন। এটি গাছের সৌন্দর্য বজায় রাখে এবং ফুল ফোটানোর সম্ভাবনা বাড়ায়। গ্রীষ্ম এবং শীতকালে গাছের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। গ্রীষ্মকালে পানি দেওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে এবং শীতকালে গাছকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে হবে।
এছাড়া কীটনাশক ব্যবহার করে গাছের রোগবালাই প্রতিরোধ করা যায়। নিয়মিত সার প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ফোটানোর সম্ভাবনা বাড়ে। গাছের পাতায় যদি হলুদ দাগ দেখা যায় তবে এটি পানির অভাবে হতে পারে তাই পানি দেওয়ার সময় খেয়াল রাখা উচিত।
ছাঁটাই পদ্ধতি
বাগান বিলাস গাছের ছাঁটাই একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। প্রতি বছর গ্রীষ্মের শেষে এবং শীতের শুরুতে গাছের শুকনো ও রোগাক্রান্ত ডালপালা কেটে ফেলতে হবে। ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে গাছের আকার নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং নতুন ডালপালা গজানোর সুযোগ তৈরি হয়। এছাড়া ছাঁটাইয়ের পর গাছের বৃদ্ধিও দ্রুত হয় এবং ফুল ফোটানোর সম্ভাবনা বাড়ে।
কীটনাশক ও রোগপ্রতিরোধ
বাগান বিলাস গাছ বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এদের মধ্যে প্রধানত মাকড়, থ্রিপস এবং মাইটস উল্লেখযোগ্য। নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করে এদের থেকে গাছকে রক্ষা করা যায়। এছাড়া গাছের পাতায় পাউডারি মিলডিউ বা ব্লাইট দেখা গেলে দ্রুত ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। রোগপ্রতিরোধের জন্য গাছের স্বাস্থ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সার প্রয়োগ
বাগান বিলাস গাছের বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রতি মাসে একবার জৈব সার প্রয়োগ করলে গাছের বৃদ্ধি ও ফুল ফোটানোর সম্ভাবনা বাড়ে। এছাড়া গাছের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে মাঝে মাঝে রাসায়নিক সারও প্রয়োগ করা যেতে পারে। সার প্রয়োগের সময় মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে এবং অতিরিক্ত সার প্রয়োগ এড়িয়ে চলতে হবে।
বাগান বিলাস গাছের উপকারিতা
বাগান বিলাস গাছ শুধু সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না এটি পরিবেশগত উপকারিতাও নিয়ে আসে। এই গাছ বায়ুদূষণ কমাতে সাহায্য করে এবং পরিবেশের জন্য উপকারী। এছাড়া এই গাছ মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। বাগান বিলাস গাছের ফুল বাড়ির আঙ্গিনা বা বারান্দাকে সজীব করে তোলে এবং পরিবেশে সজীবতা আনে।
এই গাছের মাধ্যমে বাড়ির আঙ্গিনা বা বাগানকে আরও আকর্ষণীয় ও সজীব করে তোলা যায়। এছাড়া বাগান বিলাস গাছের মাধ্যমে বাগানে প্রজাপতি এবং অন্যান্য পরাগায়ক পোকামাকড় আকৃষ্ট করা যায় যা বাগানের জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে।
উপসংহার – বাগান বিলাস গাছের দাম
বাগান বিলাস গাছ কেনার উপযুক্ত সময় ও স্থান নির্ধারণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে এই গাছের সৌন্দর্য দীর্ঘস্থায়ী রাখা সম্ভব। বাগান বিলাস গাছের দাম এবং পরিচর্যা নিয়ে সচেতন হলে আপনি আপনার বাগানকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। বাগান বিলাস গাছের মাধ্যমে আপনি আপনার বাড়ির পরিবেশকে সজীব ও সুন্দর করে তুলতে পারেন। এই গাছের সৌন্দর্য এবং উপকারিতা বিবেচনায় নিয়ে এটি আপনার বাগানে সংযোজন করলে একটি বিশেষত্ব এনে দেবে।
এই আর্টিকেলটি আপনাকে বাগান বিলাস গাছ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করবে এবং এর চাষ ও পরিচর্যার মাধ্যমে আপনার বাগানকে আরও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করবে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাকে বাগান বিলাস গাছ কেনা ও পরিচর্যার বিষয়ে সাহায্য করবে এবং আপনার বাগানকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে সক্ষম হবে।