তক্ষক এর দাম কত ২০২৪ – বিস্তারিত দাম এবং কেনার নিয়ম

তক্ষক এর দাম

বাংলাদেশে তক্ষক নামের এই ছোট সরীসৃপটি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। যদিও এটি সাধারণভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশে দেখা যায়। তবু এর দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহের অন্ত নেই। তক্ষকের বাজারমূল্য নির্ধারণে বিভিন্ন প্রভাবক কাজ করে যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক চাহিদা, চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহার এবং এর কিছু কল্পিত গুণাবলী। এই আর্টিকেলে আমরা ২০২৪ সালে তক্ষকের দাম কেমন হতে পারে এবং এর দাম বৃদ্ধির কারণগুলো বিশদভাবে জানব।

আরো পড়ুনঃ নিম গাছের চারার দাম 

তক্ষক কী এবং এর বৈশিষ্ট্য

তক্ষক একটি ছোট ধরনের সরীসৃপ যা মূলত গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে দেখা যায়। এটি গেকো পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি এশিয়ান দেশে পাওয়া যায়। তক্ষক সাধারণত ঘরের দেয়ালে কিংবা জঙ্গলে দেখা যায়। এর গায়ের বর্ণ উজ্জ্বল এবং এটি সহজেই নিজের বর্ণ পরিবর্তন করতে পারে। তক্ষক বিভিন্ন প্রজাতির হতে পারে এবং এদের শরীরে অসাধারণ ছদ্মবেশ ধারণ করার ক্ষমতা থাকে।

বৈশিষ্ট্যসমূহ: তক্ষকের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এদের চোখের গঠন রাতের অন্ধকারে দেখার জন্য উপযোগী এবং এদের পায়ের আঙ্গুলের বিশেষ গঠন সহজে মসৃণ দেয়াল বা গাছে চলাফেরা করতে সাহায্য করে।

তক্ষকের দাম কেন এত বেশি

তক্ষকের দাম নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা আলোচনা রয়েছে। প্রশ্ন আসতেই পারে সাধারণ একটি প্রাণী হিসেবে তক্ষকের এত উচ্চমূল্যের কারণ কী? এর পেছনে কয়েকটি প্রধান কারণ রয়েছে যেমন:

  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার: কিছু দেশে তক্ষককে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বলে ধারণা করা হয়। চীনা প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে তক্ষকের কিছু অংশ ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে বিবেচিত যদিও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনো প্রমাণিত নয়।
  • মিথ এবং বিশ্বাস: তক্ষক নিয়ে বেশ কিছু মিথ প্রচলিত আছে যেমন এরা বিভিন্ন রোগ সারাতে সক্ষম এবং এর দেহাংশকে নিয়ে নানা গুজব রয়েছে। এই ধরনের গুজবের কারণে বাজারে তক্ষকের চাহিদা বেড়েছে যার প্রভাব দামেও পড়েছে।

বাংলাদেশে একটি তক্ষকের গড় দাম ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ প্রজাতির তক্ষক ৫০,০০০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু ক্ষেত্রে এর মূল্য লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে।

তক্ষকের প্রকারভেদ এবং ভিন্ন প্রজাতির দাম

তক্ষকের দাম নির্ভর করে এর প্রজাতির উপরেও। প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন ধরনের তক্ষক পাওয়া যায় যেমন:

  • হাঁস পা তক্ষক: এই প্রজাতির তক্ষকের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। এটি আকারে একটু বড় এবং এর বিশেষ পায়ের গঠন হাঁসের মতো দেখতে যা একে অন্য প্রজাতি থেকে আলাদা করে। হাঁস পা তক্ষকের দাম বাংলাদেশে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে।
  • মুরগি পা তক্ষক: মুরগি পা তক্ষক দেখতে মুরগির পায়ের মতো হয় এবং এর দাম সাধারণ তক্ষকের তুলনায় কিছুটা কম। এই ধরনের তক্ষকের দাম বাংলাদেশে ৮,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকার মধ্যে থাকে।

তক্ষক কী এবং এর বৈশিষ্ট্য

বাজারে তক্ষকের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি প্রধান বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। তক্ষকের দাম নির্ভর করে তার প্রজাতি, আকার, প্রাপ্তিস্থান এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার উপর। আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষকের চাহিদা এবং ঔষধি গুণের কারণেই এর দাম ক্রমাগত বাড়ছে।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য পার্থক্য: আন্তর্জাতিক বাজারে এক একটি তক্ষক ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকার ওপরে বিক্রি হতে পারে। তবে স্থানীয় বাজারে এটি সাধারণত ৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়।

কোন অঞ্চলে কত দাম

তক্ষকের দাম বিভিন্ন দেশে ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

  • বাংলাদেশ: বাংলাদেশে তক্ষকের দাম প্রজাতি ভেদে ৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
  • ভারত: ভারতে তক্ষকের দাম সাধারণত ১০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে থাকে।
  • চীন ও অন্যান্য এশীয় দেশ: চীন ও অন্যান্য এশীয় দেশে তক্ষকের দাম লক্ষাধিক টাকায় উঠতে পারে কারণ সেখানে চিকিৎসা ও ঐতিহ্যগত বিশ্বাসের কারণে তক্ষকের চাহিদা বেশি।

তক্ষক কেন এত উচ্চমূল্যে বিক্রি হয়

তক্ষকের উচ্চমূল্যের পিছনে কিছু বিশেষ কারণ রয়েছে যা এটির মূল্যকে সাধারণের তুলনায় বেশি করে তোলে। তক্ষকের দেহের অংশগুলো বিভিন্ন সংস্কৃতিতে ঔষধি গুণাবলীর জন্য জনপ্রিয়। বিশেষত চীনের প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রে। এছাড়া কিছু মানুষ মনে করেন যে তক্ষক বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে পারে যেমন ক্যান্সার ও যৌন সমস্যা। যদিও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তক্ষক সংগ্রহ এবং এর বিপণন একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে যার ফলে তক্ষকের মূল্যও বেড়ে চলেছে। এই কারণগুলোই তক্ষকের উচ্চমূল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  • ঔষধি গুণাবলী: কিছু প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় তক্ষকের দেহের নির্দিষ্ট অংশ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়। যদিও বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন দাবির সমর্থন পাওয়া যায়নি তথাপি প্রাচীন বিশ্বাসের কারণে তক্ষকের দাম বেশি রাখা হয়।
  • গুজব ও লোকবিশ্বাস: বিভিন্ন দেশে তক্ষক নিয়ে নানা গুজব প্রচলিত আছে। এরা ভাবে এটি একটি শক্তিশালী প্রাণী যা মানুষকে অলৌকিকভাবে নিরাময় করতে সক্ষম। এই ধরনের লোকবিশ্বাসের কারণে তক্ষকের দাম বাড়ছে এবং প্রতারণার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

তক্ষকের বিভিন্ন প্রয়োগ ও ব্যবহার

তক্ষক বিভিন্ন কারণে সংগ্রহ করা হয় যা এর দামকে প্রভাবিত করে। এর প্রয়োগ প্রধানত দুইটি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়: চিকিৎসা এবং বিনোদন।

  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার: চীনা ঔষধি শাস্ত্রে তক্ষকের অংশগুলো বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। যদিও এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে বিতর্ক আছে তথাপি এই বিশ্বাসে চীনা বাজারে তক্ষকের চাহিদা অনেক বেশি।
  • লোকবিশ্বাস এবং অলৌকিক ক্ষমতার ধারণা: কিছু মানুষ তক্ষকের প্রতি এক অলৌকিক ক্ষমতার বিশ্বাস পোষণ করেন। বিশেষত এশিয়ার কিছু অঞ্চলে ধারণা রয়েছে যে তক্ষক বিশেষ ধরণের রোগ নিরাময় করতে পারে। এর ফলে তক্ষকের দাম বাজারে বৃদ্ধি পায়।

তক্ষকের সংগ্রহ ও বিক্রয় প্রক্রিয়া

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তক্ষক সংগ্রহ এবং বিক্রি করা এক ধরনের ব্যবসা হয়ে উঠেছে। কিছু স্থানে এটি অবৈধ হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষকের চাহিদা তীব্র হওয়ায় অনেকেই এই ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে।

  • সংগ্রহ প্রক্রিয়া: তক্ষক সাধারণত জঙ্গল, পাহাড় এবং বাড়ির ছাদে পাওয়া যায়। তক্ষক সংগ্রহের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ সংগ্রাহকের সহায়তা নেওয়া হয়। যারা এই প্রাণীগুলোকে সুরক্ষিতভাবে সংগ্রহ করে। তবে এই সংগ্রহ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেক সময় পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হয়।
  • বিক্রয় এবং বিপণন প্রক্রিয়া: আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষক বিক্রয় করা হলে দাম অনেক বেড়ে যায় যা স্থানীয় বাজারে বিক্রয়ের তুলনায় অনেক বেশি।

বাংলাদেশের বাজারে তক্ষকের দাম সাধারণত ৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষকের মূল্য লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে।

তক্ষক নিয়ে প্রচলিত মিথ ও গুজব

তক্ষক নিয়ে অনেক ধরনের মিথ এবং গুজব প্রচলিত রয়েছে যা এর দাম বাড়ার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

আরো পড়ুনঃ কালার বার্ড মুরগির বাচ্চার দাম 

  • বিশ্বাসের ভিত্তিতে প্রতারণা: অনেক সময় প্রতারকরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে তক্ষককে অত্যন্ত মূল্যবান বলে দাবি করেন এবং উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন। এই ধরনের প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
  • লোকবিশ্বাস: এশিয়ার কিছু দেশে তক্ষককে অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন বলে বিবেচনা করা হয়। ধারণা করা হয় তক্ষক বিভিন্ন জটিল রোগ নিরাময়ে সক্ষম। এই ধরনের বিশ্বাসের কারণে তক্ষকের দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং প্রতারণার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তক্ষক কামড়ানোর প্রভাব ও প্রতিকার

অনেকেই জানেন না যে তক্ষক কামড়ালে কী হতে পারে। তক্ষকের কামড় খুব শক্তিশালী না হলেও এতে সামান্য ক্ষতি হতে পারে। সাধারণত তক্ষক কামড়ে ধরে রাখে তবে এটি বিষাক্ত নয়। তবুও কামড়ের পরে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা করা উচিত।

প্রতিকার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা: তক্ষক কামড়ালে প্রথমে কামড়ের স্থানটি সাবান এবং পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এটি বিষাক্ত না হলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকায় প্রাথমিক সুরক্ষা নেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

তক্ষক কেনা-বেচার আইনগত দিক

বাংলাদেশে এবং বিভিন্ন দেশে তক্ষকের কেনা-বেচা একটি আইনি জটিলতা তৈরি করে।

  • বাংলাদেশের আইন: বাংলাদেশে তক্ষকের অবৈধ সংগ্রহ এবং বিপণন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তক্ষক প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী তাই পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
  • আন্তর্জাতিক আইন এবং বিধিনিষেধ: চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং অন্যান্য এশীয় দেশে তক্ষকের অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন আছে।

এভাবে তক্ষকের ক্রয়-বিক্রয় এবং সংগ্রহের বিষয়ে আইনগত দিক বিবেচনা করা হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষকের চাহিদা এবং এর প্রভাব

আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষকের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে চীনের বাজারে এবং অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলোতে তক্ষক অনেক মূল্যবান হিসেবে বিবেচিত। এটির ঔষধি ব্যবহারের মিথ প্রচলিত থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে তক্ষকের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। তক্ষকের আন্তর্জাতিক চাহিদার কারণে স্থানীয় বাজারেও দাম প্রভাবিত হয়।

  • উচ্চমূল্য এবং বিক্রয় প্রক্রিয়া: তক্ষক বাংলাদেশে কম দাম হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে এটি ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হতে পারে।
  • বৈজ্ঞানিক বৈধতা না থাকা সত্ত্বেও চাহিদা বৃদ্ধি: তক্ষক সম্পর্কিত ঔষধি দাবি এখনো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তবুও প্রচলিত মিথের কারণে এর চাহিদা কমছে না বরং বেড়েই চলেছে।

তক্ষকের কৃত্রিম প্রজনন এবং তার প্রভাব

তক্ষকের চাহিদা পূরণের জন্য অনেক দেশে কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট জটিল এবং তক্ষকের প্রকৃত প্রজনন প্রক্রিয়া পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল।

  • কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা: তক্ষকের চাহিদা ও দামকে লক্ষ্য করে এটি কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদন করার মাধ্যমে চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এটি ব্যয়বহুল এবং টেকনিক্যাল দক্ষতার প্রয়োজন।
  • পরিবেশের ওপর প্রভাব: কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে তক্ষকের সংখ্যা কমে যেতে পারে, যা প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। তাই পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে কৃত্রিম প্রজননের পরিকল্পনা নেওয়া উচিত।

তক্ষক বিক্রয়ে প্রতারণার ঘটনাবলি

তক্ষক নিয়ে অনেক প্রতারণার ঘটনা ঘটে থাকে। কিছু প্রতারক উচ্চমূল্য দাবি করে তক্ষক বিক্রয় করে, যদিও সেটি বাস্তবে তেমন মূল্যবান নয়। এই ধরনের প্রতারণা এড়ানোর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

  • ভুয়া দাবি ও প্রতারণা: প্রতারকরা অনেক সময় তক্ষকের ঔষধি গুণাগুণ নিয়ে অতিরঞ্জিত দাবি করে যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। এর ফলে উচ্চমূল্যে তক্ষক বিক্রি হয়।
  • সচেতনতার প্রয়োজন: সাধারণ মানুষকে তক্ষক কেনাবেচার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মিডিয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হলে প্রতারণার ঘটনা কমে আসবে।

তক্ষক কেনা ও বিক্রি করার আগে কী জানতে হবে

তক্ষক কেনা ও বিক্রি করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই জানা প্রয়োজন। অনেকেই তক্ষক কিনতে বা বিক্রি করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন কারণ তারা এই বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখেন না।

  • মূল্য নির্ধারণ ও বাজার যাচাই: তক্ষকের আসল মূল্য নির্ধারণ এবং বাজার যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ বাজারে তক্ষকের দাম তুলনামূলক কম হলেও বিশেষ প্রজাতির তক্ষক বেশি দামে বিক্রি হতে পারে।
  • আইনি দিক: বাংলাদেশে তক্ষক কেনাবেচা আইনগতভাবে নিয়ন্ত্রিত তাই আইনি প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা জরুরি।

তক্ষক সংরক্ষণ এবং পরিবেশগত গুরুত্ব

তক্ষক প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং পরিবেশে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তক্ষক মূলত কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে যা কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত শিকার এবং অবৈধ কেনাবেচার কারণে তক্ষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে যা পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

  • কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা: তক্ষক পোকামাকড় খেয়ে পরিবেশে এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রাখে যা কৃষির জন্য সহায়ক।
  • সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য বজায় রাখার জন্য তক্ষক সংরক্ষণ করা জরুরি। অবৈধ ব্যবসা বন্ধ এবং কৃত্রিম প্রজননের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ পল্টি মুরগির দাম কত

উপসংহার – তক্ষক এর দাম

তক্ষকের বাজারমূল্য এবং কেনাবেচা প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক জটিলতা রয়েছে। এই প্রাণীটি আমাদের পরিবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাই এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। তক্ষকের চাহিদা ও দাম বৃদ্ধির পিছনে অনেক ভুল ধারণা এবং মিথ প্রচলিত রয়েছে। তাই তক্ষক কেনা-বেচার সময় সকলকে সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *