কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম ও অফার ২০২৫

ওয়ালটন ফ্রিজ

বাংলাদেশে ওয়ালটন ফ্রিজ বরাবরই জনপ্রিয় একটি নাম। বিশেষ করে যাঁরা নগদ টাকা দিয়ে বড় অংকের পণ্য কিনতে পারেন না, তাঁদের জন্য ওয়ালটন কিস্তির সুবিধা দিয়ে থাকে।

ওয়ালটন দেশের বাজারে গ্রাহকদের প্রয়োজনের কথা বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি করে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ফ্রিজের।

আজকের এই আপডেট আর্টিকেলে থাকছে:

  • কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের বর্তমান দাম

  • বিভিন্ন মডেলের মূল্য তালিকা

  • কেন দাম বেড়েছে তার বিশ্লেষণ

  • কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার নিয়ম

আপনি যদি ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার কথা ভাবেন, তাহলে অবশ্যই পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।


Table of Contents

২০২৫ সালে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম কত?

ওয়ালটনের সর্বশেষ তথ্যমতে, বর্তমানে তাদের বাজারে ২০০টিরও বেশি ফ্রিজ মডেল রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • ডাইরেক্ট কুল ফ্রিজ

  • ফ্রস্ট ফ্রি বা নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ

  • ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজ

বর্তমান মূল্যসীমা (২০২৫)

  • সর্বনিম্ন দাম: ২৮,৫০০ টাকা

  • সর্বোচ্চ দাম: ২,৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত

দাম বৃদ্ধির কারণ:

  • ডলার রেট বৃদ্ধি

  • আমদানি যন্ত্রাংশের মূল্যবৃদ্ধি

  • পরিবহন খরচ ও শুল্ক বেড়ে যাওয়া

গড় মূল্যবৃদ্ধি:

২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম গড়ে ৭% থেকে ১২% পর্যন্ত বেড়েছে।


কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের আপডেট মূল্য তালিকা (২০২৫)

নিচে জনপ্রিয় কিছু মডেলের বর্তমান দাম দেওয়া হলো। সঙ্গে পুরনো দাম তুলনাও রাখা হয়েছে, যাতে সহজেই বুঝতে পারেন।

মডেল কিস্তি মূল্য (২০২৫) নগদ মূল্য (১২% ডিসকাউন্ট) আগের কিস্তি মূল্য (২০২৪)
WFC-3F5-GDNE-XX ৫৬,৫০০ টাকা ৪৯,৭২০ টাকা ৫১,০৯০ টাকা
WFK-3G0-GDEL-XX ৫৭,৫০০ টাকা ৫০,৬০০ টাকা ৫১,৯৯০ টাকা
WFC-3F5-GAXA-UX-P (Inverter) ৫৭,২০০ টাকা ৫০,৩৩৬ টাকা ৫১,৬৯০ টাকা
WFC-3F5-GDEH-DD (Inverter) ৬০,০০০ টাকা ৫২,৮০০ টাকা ৫৪,২৯০ টাকা
WFC-3F5-GDEH-XX ৫৬,৮০০ টাকা ৫০,০৮৪ টাকা ৫১,৫৯০ টাকা
WFC-3F5-GDXX-XX ৫৫,৫০০ টাকা ৪৮,৮৪০ টাকা ৫০,৩৯০ টাকা
WFC-3D8-GDXX-XX ৫৩,৫০০ টাকা ৪৭,০৮০ টাকা ৪৮,৪৯০ টাকা
WFC-3X7-GDXX-XX ৫০,০০০ টাকা ৪৪,০০০ টাকা ৪৫,২৯০ টাকা
WFA-2D4-GDSH-XX ৪৩,৮০০ টাকা ৩৮,৫৪৪ টাকা ৩৯,৪৯০ টাকা

টিপস:

  • কিস্তি মূল্য ৮% থেকে ১৬% ইন্টারেস্ট যুক্ত করে নির্ধারণ হয়।

  • নগদ মূল্য সাধারণত ১২% পর্যন্ত ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়।

  • বিভিন্ন অফার বা বিশেষ ক্যাম্পেইনে আরও ছাড় মিলতে পারে।


বিশ্লেষণ:

ওয়ালটন ফ্রিজের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও ডলার রেটের প্রভাব।
বিশেষ করে ইনভার্টার প্রযুক্তির ফ্রিজগুলোর দাম বেশি বেড়েছে, কারণ এতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়।

কিস্তিতে ওয়ালটন ১৪ সেফটি ফ্রিজের দাম (২০২৫ সালের হালনাগাদ)

ওয়ালটন ১৪ সেফটি ফ্রিজ গুলো সাধারণত বড় আকারের এবং বেশি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়। যাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি অথবা বেশি পরিমাণ খাবার সংরক্ষণ করতে হয়, তাঁদের জন্য এই ফ্রিজগুলো জনপ্রিয়।

কিস্তিতে ১৪ সেফটি ফ্রিজ কেনার সময় নগদ মূল্যের তুলনায় ৮% থেকে ১৬% বেশি দাম পড়বে। এছাড়া ওয়ালটন কিছু মডেলে ইনভার্টার প্রযুক্তির সুবিধা দেয়, যা দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।

২০২৫ সালের নতুন মূল্য তালিকা (১৪ সেফটি ফ্রিজ)

মডেল কিস্তি মূল্য (২০২৫) নগদ মূল্য (১২% ডিসকাউন্ট) আগের কিস্তি মূল্য (২০২৪)
WFC-3F5-GDEL-XX (Inverter) ৫৭,৮০০ টাকা ৫০,৮৮৬ টাকা ৫২,০৯০ টাকা
WFC-3F5-GDEH-DD (Inverter) ৬০,৫০০ টাকা ৫৩,২৪০ টাকা ৫৪,২৯০ টাকা
WFC-3F5-GDEH-XX (Inverter) ৫৯,০০০ টাকা ৫১,৯২০ টাকা ৫২,৫৯০ টাকা
WFC-3F5-GDNE-XX (Inverter) ৫৭,৮০০ টাকা ৫০,৮৮৬ টাকা ৫২,০৯০ টাকা
WFC-3F5-GDXX-XX (Inverter) ৫৬,৫০০ টাকা ৪৯,৭২০ টাকা ৫১,৩৯০ টাকা

গুরুত্বপূর্ণ:

  • ইনভার্টার প্রযুক্তির কারণে এই মডেলগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি।

  • ২০২৪ সালের তুলনায় গড়ে ৮% থেকে ১১% পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।

  • বেশি মাসের কিস্তি নিলে ইন্টারেস্ট বাড়বে।


কিস্তিতে ওয়ালটন দামি ফ্রিজের নতুন দাম (২০২৫ সালের হালনাগাদ)

যারা প্রিমিয়াম বা দামি ওয়ালটন ফ্রিজ খুঁজছেন, তাঁদের জন্য রয়েছে উচ্চমূল্যের ফ্রিজ মডেল। এগুলো সাধারণত ৫০০ লিটার থেকে শুরু হয় এবং ৬০০ লিটার বা তার বেশি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়।

এই ফ্রিজগুলোতে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন স্মার্ট ফিচার, ডুয়াল ডোর, ডিজিটাল ডিসপ্লে, ইনভার্টার ইঞ্জিন ইত্যাদি থাকায় এগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি।

২০২৫ সালের দামি ওয়ালটন ফ্রিজের কিস্তি মূল্য তালিকা

মডেল কিস্তি মূল্য (২০২৫) নগদ মূল্য (১২% ডিসকাউন্ট) আগের কিস্তি মূল্য (২০২৪)
WNR-6F0-SCRC-CO ১,৯৮,০০০ টাকা ১,৭৪,২৪০ টাকা ১,৭৯,৯৯০ টাকা
WNR-6D6-GDFS-DD ১,৫৭,০০০ টাকা ১,৩৮,১৬০ টাকা ১,৪২,৯৯০ টাকা
WNI-6A9-GDSD-DD ১,২৬,৫০০ টাকা ১,১১,৩২০ টাকা ১,১৪,৯৯০ টাকা
WNI-5F3-GDEL-ID ১,০৩,৫০০ টাকা ৯১,০৮০ টাকা ৯১,৯৯০ টাকা
WNI-6A9-GDNE-BD ১,৬১,৫০০ টাকা ১,৪২১২০ টাকা ১,৪৭,৯৯০ টাকা

দাম বৃদ্ধির কারণ:

  • ইনভার্টার টেকনোলজি, স্মার্ট কন্ট্রোল

  • বড় আকার ও বেশি ধারণ ক্ষমতা

  • আমদানি যন্ত্রাংশের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি


মূল্য বিশ্লেষণ

  • ২০২৪ সালের তুলনায় প্রিমিয়াম ফ্রিজের দাম ১০% থেকে ১২% বেড়েছে।

  • বড় মডেলগুলোর দাম সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

  • ওয়ালটন এই ফ্রিজগুলোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি EMI সুবিধা (২৪ থেকে ৩৬ মাস) দিচ্ছে।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার নিয়ম (২০২৫ সালের আপডেট)

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বাজার চাহিদার কারণে ওয়ালটন কিস্তির মাধ্যমে পণ্য কেনার সুযোগ সম্প্রসারিত করেছে। ওয়ালটনের কিস্তি সুবিধা নিতে চাইলে আপনাকে কিছু শর্ত ও নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার নিয়মাবলী:

  • প্রথমেই ওয়ালটনের শোরুম বা অথরাইজড ডিলারে যোগাযোগ করতে হবে।

  • নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হয়, যাতে আপনার নাম, ঠিকানা, আয়ের উৎস, পেশা ইত্যাদি তথ্য দিতে হয়।

  • আপনাকে অবশ্যই দুইজন জামিনদার দিতে হবে। তারা আপনার পরিচিত কেউ হতে পারেন।

  • ডাউন পেমেন্ট বা অগ্রিম টাকা দিতে হবে, যা সাধারণত মোট দামের ১০% থেকে শুরু হয়।

  • বাকি টাকা নির্ধারিত কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।


প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে নিতে হলে কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে। এগুলো ছাড়া ফ্রিজ কিস্তিতে কেনা সম্ভব নয়।

দরকারি ডকুমেন্টস:

  • আপনার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি

  • জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্ট কার্ডের ফটোকপি

  • ২ জন জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি

  • প্রয়োজনে একজন নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি (ঐচ্ছিক)

  • পেশাগত তথ্য (যদি চাকরিজীবী হন, চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হতে পারে)

বিঃদ্রঃ: কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজপত্র লাগতে পারে, যেমন বিদ্যুৎ বিলের কপি বা বাড়ির মালিকানা দলিলের ফটোকপি।


সর্বোচ্চ কত মাসের কিস্তি সুবিধা পাওয়া যায়?

ওয়ালটন তাদের ফ্রিজসহ বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিভিন্ন মেয়াদের কিস্তির সুবিধা দিয়ে থাকে। আপনি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কিস্তির সময়সীমা বাছাই করতে পারবেন।

কিস্তির মেয়াদ:

  • সর্বনিম্ন: ৬ মাস

  • সর্বোচ্চ: ৩৬ মাস (বিশেষ ক্ষেত্রে)

ডাউন পেমেন্ট:

  • সাধারণত ১০% থেকে শুরু হয়

  • পণ্যভেদে সর্বোচ্চ ৩০% পর্যন্ত হতে পারে

ইন্টারেস্ট হার:

  • সর্বনিম্ন ৮% থেকে শুরু

  • সর্বোচ্চ ১৬% পর্যন্ত

  • মেয়াদ যত বড়, ইন্টারেস্ট তত বেশি হয়


ওয়ালটন কিস্তির বিশেষ সুবিধা:

  • শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপে ০% ইন্টারেস্ট সুবিধা

  • ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা এতিমখানার জন্য ডাউন পেমেন্ট ছাড়াই ১২ মাসের কিস্তি

  • ৪ মাস পর্যন্ত নগদ মূল্যের সুবিধা (নির্দিষ্ট পণ্যে)


কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার আগে সঠিক পরিকল্পনা বাছাই করবেন যেভাবে

ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই সঠিক পরিকল্পনা বেছে নিতে হবে। ভুল পরিকল্পনায় পড়লে আর্থিক চাপ বাড়তে পারে।

সঠিক কিস্তি পরিকল্পনা বাছাইয়ের টিপস:

  1. মাসিক আয়ের হিসাব করুন:
    প্রথমে নিজের মাসিক আয়ের ২০-৩০% কিস্তির জন্য বরাদ্দ করতে পারবেন কি না, সেটি যাচাই করুন।

  2. ডাউন পেমেন্ট বেশি দিন:
    যত বেশি অগ্রিম টাকা দেবেন, মাসিক কিস্তির পরিমাণ তত কমবে এবং ইন্টারেস্টও কম হবে।

  3. স্বল্প মেয়াদে কিস্তি সুবিধা নিন:
    দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে সুদের হার বেশি হয়, তাই চেষ্টা করুন স্বল্প মেয়াদে পরিশোধের।

  4. ইন্টারেস্ট রেট যাচাই করুন:
    কোন পণ্যে কত ইন্টারেস্ট প্রযোজ্য, তা আগেই জেনে সিদ্ধান্ত নিন।

  5. অন্যান্য খরচ বিবেচনা করুন:
    অনেক সময় ইনস্টলেশন ফি, প্রসেসিং ফি, বা অন্যান্য খরচ থাকতে পারে। সব মিলিয়ে মূল্য যাচাই করুন।


ওয়ালটন ফ্রিজের কিস্তির ইন্টারেস্ট হার কিভাবে নির্ধারিত হয়?

ওয়ালটনের কিস্তির সুদের হার সাধারণত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে:

  1. মেয়াদ (কিস্তির সময়সীমা):
    কিস্তির মেয়াদ যত দীর্ঘ, সুদের হার তত বেশি।

  2. ডাউন পেমেন্টের পরিমাণ:
    ডাউন পেমেন্ট বেশি হলে ইন্টারেস্ট কম হয়।

  3. পণ্যের ধরণ ও ক্যাটাগরি:
    উচ্চমূল্যের পণ্যে ইন্টারেস্ট তুলনামূলক বেশি হতে পারে।


সাধারণ ইন্টারেস্ট চার্ট (২০২৫):

কিস্তির মেয়াদ আনুমানিক ইন্টারেস্ট হার
৬ মাস ৮%
১২ মাস ১০%
২৪ মাস ১২%
৩৬ মাস ১৪% থেকে ১৬%

ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার পর সার্ভিস ও ওয়ারেন্টি সুবিধা

ওয়ালটন কিস্তিতে ফ্রিজ কিনলেও ক্রেতারা ফুল ওয়ারেন্টি এবং সার্ভিস সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিস্তিতে কিনলে ওয়ারেন্টি কমে যায় না।

ওয়ালটন ফ্রিজের ওয়ারেন্টি সুবিধা:

  • কম্প্রেসরে ১০ বছরের ওয়ারেন্টি

  • ফ্রিজে ৩ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি

  • বিনামূল্যে ইনস্টলেশন সুবিধা (নির্দিষ্ট শর্তে)

  • অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমে সার্ভিস সুবিধা


ই-প্লাজা থেকে ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার সুবিধা

ওয়ালটনের ই-প্লাজা হচ্ছে তাদের অফিশিয়াল অনলাইন স্টোর। এখানে আপনি ঘরে বসেই ফ্রিজসহ অন্যান্য পণ্য কিস্তিতে কিনতে পারবেন।

ই-প্লাজা থেকে কেনার সুবিধা:

  • ঘরে বসেই অর্ডার ও পেমেন্ট

  • অনলাইন EMI ক্যাম্পেইন সুবিধা

  • অনলাইন ব্যাংকিং, কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সাপোর্ট

  • শোরুমের মতোই অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস

  • সহজ রিটার্ন পলিসি (শর্ত প্রযোজ্য)


বিশেষ টিপস:

  • ই-প্লাজায় অনেক সময় অতিরিক্ত ক্যাশব্যাক বা ভাউচার সুবিধা থাকে।

  • অনলাইনে অর্ডার দিলে পণ্য ডেলিভারিতে ৩ থেকে ৭ দিন সময় লাগতে পারে।


কেনার সময় রিকমেন্ডেশন

ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার আগে নিচের পরামর্শগুলো মাথায় রাখুন:

  1. নগদ মূল্য ও কিস্তি মূল্যের তুলনা করে দেখুন।

  2. নিজের বাজেটের বাইরে গিয়ে কোনো পণ্য কিনবেন না।

  3. বেশি মাসের কিস্তি না নিয়ে স্বল্প মেয়াদ বেছে নিন।

  4. ইনভার্টার ফ্রিজ কিনলে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হয়, তাই তা বিবেচনায় নিন।

  5. ডাউন পেমেন্ট বেশি রাখলে ভবিষ্যতে আর্থিক চাপ কম হয়।

উপসংহার ও সুপারিশ: এখনই কিনবেন কি না?

বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে কিস্তির সুবিধার কারণে অনেকের জন্য এটি এখনো সহজলভ্য।

যদি আপনার বাজেট সীমিত হয় বা বড় অংকের টাকা একবারে পরিশোধ সম্ভব না হয়, তাহলে কিস্তির মাধ্যমে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনা একটি ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে।

আপনার জন্য সুপারিশ:

  • মাসিক আয়, খরচ, ও ভবিষ্যৎ আর্থিক পরিকল্পনা বিবেচনা করে কিস্তির সিদ্ধান্ত নিন।

  • বেশি মাসের কিস্তি এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে সুদের হার অনেক বেড়ে যায়।

  • ইনভার্টার ফ্রিজে বিনিয়োগ করলে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় হবে।

  • ওয়ালটনের অফিশিয়াল শোরুম বা ই-প্লাজা থেকেই কিনুন, যেন পরবর্তী সার্ভিসে সুবিধা পান।

ভবিষ্যৎ দাম নিয়ে ধারণা:
বর্তমান ডলার রেট, আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি ও কাঁচামালের দাম বিবেচনায়, সামনের মাসগুলোতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম আরও ৩% থেকে ৫% পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সুতরাং, যদি আপনার প্রয়োজনীয়তা বর্তমানেই বেশি হয়, তাহলে এখনই কেনা উত্তম। তবে বিশেষ ছাড় বা অফার চলাকালে কিনলে কিছুটা সাশ্রয় হতে পারে।


সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQ)

১. ওয়ালটন ফ্রিজের সর্বনিম্ন কিস্তি মূল্য কত হতে পারে?

সর্বনিম্ন মডেলের কিস্তি মূল্য সাধারণত ২৮,৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। তবে ডাউন পেমেন্ট ও কিস্তির সময়সীমা অনুযায়ী এটি আরও কম বা বেশি হতে পারে।


২. ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কিনলে কি ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে?

হ্যাঁ, কিস্তিতে কিনলেও ওয়ালটন ফ্রিজের পূর্ণ ওয়ারেন্টি সুবিধা পাওয়া যায়। যেমন ১০ বছরের কম্প্রেসার ওয়ারেন্টি ও ৩ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি।


৩. ওয়ালটন ফ্রিজের কিস্তি কত মাস পর্যন্ত দেওয়া যায়?

সর্বোচ্চ ৩৬ মাস পর্যন্ত কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনা যায়। তবে সব মডেলের জন্য এই মেয়াদ প্রযোজ্য নয়, পণ্যের ধরন ও দামের ওপর ভিত্তি করে মেয়াদ কমবেশি হতে পারে।


সর্বশেষ আপডেট:
এই লেখাটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে: ১১ জুলাই ২০২৫

এই আপডেটেড আর্টিকেলটিতে কিস্তিতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম, কিস্তির নিয়ম, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট, ইন্টারেস্ট হার, ওয়ারেন্টি, কেনার পরিকল্পনা এবং বিশেষ টিপসসহ পুরো বিষয়টি ২০২৫ সালের বাজারদর অনুযায়ী বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *