কফি মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, কর্মজীবী মানুষ এবং কফি–প্রেমীদের জন্য একটি আধুনিক কফি মেশিন এখন আর বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক পণ্য। বাংলাদেশে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ছাড়াও অফিস ও বাসায় কফি মেশিন ব্যবহারের প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
২০২৫ সালে কফি মেশিনের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এর প্রধান কারণ হলো –
-
আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানিকৃত ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম বৃদ্ধি
-
ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন
-
উন্নত প্রযুক্তি ও নতুন ফিচার সংযোজন
-
পরিবহন খরচ বৃদ্ধি
বাংলাদেশের বাজারে কফি মেশিনের চাহিদা
বাংলাদেশে কফি মেশিনের চাহিদা বাড়ছে তিনটি প্রধান কারণে –
-
দ্রুত কফি প্রস্তুত করার সুবিধা – ব্যস্ত অফিস ও কর্মজীবনের জন্য অটোমেটিক মেশিন বেশি জনপ্রিয়।
-
সহজলভ্যতা – অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন দারাজ, আজকেরডিল ও ইলেকট্রনিক্স শোরুমে সহজে পাওয়া যায়।
-
বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের উপস্থিতি – ওয়ালটন, রয়েল, নেসলে ছাড়াও ফিলিপস, ডেলংগি, বোশ প্রভৃতি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডও বাজারে জায়গা করে নিয়েছে।
জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের তালিকা (২০২৫)
বাংলাদেশে যে ব্র্যান্ডগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় –
-
ওয়ালটন – দেশীয় ব্র্যান্ড, বাজেট–ফ্রেন্ডলি দাম ও সহজলভ্য।
-
রয়েল – আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, মূলত ক্যাফে ও অফিসে বেশি ব্যবহার হয়।
-
নেসলে (Nespresso) – ক্যাপসুল ভিত্তিক কফি মেশিনের জন্য বিখ্যাত।
-
ফিলিপস – টেকসই ও ফিচারসমৃদ্ধ।
-
ডেলংগি (DeLonghi) – আন্তর্জাতিক মানের এসপ্রেসো ও অটোমেটিক মেশিন।
-
বোশ (Bosch) – মূলত অফিস ও ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য উপযোগী।
কফি মেশিন কেনার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখবেন
-
ব্যবহারের ধরন নির্ধারণ করুন → বাড়ি, অফিস নাকি ক্যাফের জন্য কিনবেন?
-
বাজেট ঠিক করুন → কোন দামের মধ্যে কিনতে চান সেটি আগে থেকে পরিকল্পনা করুন।
-
ক্ষমতা (Capacity) → বাড়ির জন্য ৪–৬ কাপের মেশিন যথেষ্ট, কিন্তু অফিস বা ক্যাফের জন্য ১০–১৫ কাপের মেশিন দরকার।
-
ফিচারস → অটোমেটিক টাইমার, মিল্ক ফ্রথার, তাপ নিয়ন্ত্রণ, ক্যাপসুল সাপোর্ট ইত্যাদি।
-
বিক্রয়োত্তর সেবা → ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস সাপোর্ট আছে কিনা যাচাই করুন।
কফি মেশিনের ধরন ও তাদের দাম (২০২৫ সালের বাজার অনুযায়ী)
ধরন | বৈশিষ্ট্য | পুরনো দাম (২০২৪) | নতুন দাম (২০২৫) |
---|---|---|---|
ম্যানুয়াল কফি মেশিন | নিজে কফি বানাতে হয়, সহজে ব্যবহারযোগ্য | ৫,০০০ – ১০,০০০ টাকা | ৬,৫০০ – ১২,০০০ টাকা |
অটোমেটিক কফি মেশিন | বোতাম চাপলেই কফি প্রস্তুত হয় | ১৫,০০০ – ২৫,০০০ টাকা | ১৮,০০০ – ৩০,০০০ টাকা |
ক্যাপসুল কফি মেশিন | ক্যাপসুল ব্যবহার করে কফি তৈরি | প্রায় ৩০,০০০ টাকা | ২৫,০০০ – ৪০,০০০ টাকা |
এসপ্রেসো মেশিন | উচ্চমানের এসপ্রেসো প্রস্তুতের জন্য | ২০,০০০ – ৪৫,০০০ টাকা | ২৫,০০০ – ৫০,০০০ টাকা |
ওয়ালটন কফি মেশিনের দাম ও বৈশিষ্ট্য
ওয়ালটন বাংলাদেশের স্থানীয় ব্র্যান্ড হওয়ায় এর কফি মেশিনগুলো সবচেয়ে বেশি সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য। দেশীয় উৎপাদন হওয়ায় দাম তুলনামূলক কম এবং সার্ভিস সাপোর্টও সহজে পাওয়া যায়।
-
দামের সীমা (২০২৫): ৭,০০০ – ১৮,০০০ টাকা
-
জনপ্রিয় মডেল: Walton EC-100, Walton WM-ECM02
-
বৈশিষ্ট্য:
-
সহজ ব্যবহারযোগ্য কন্ট্রোল সিস্টেম
-
দ্রুত কফি প্রস্তুত করার সুবিধা
-
শক্তিশালী হিটার এবং নিরাপদ ডিজাইন
-
১ থেকে ৪ কাপ কফি বানানোর ক্ষমতা
-
উদাহরণ: Walton EC-100 মডেলের দাম ২০২৪ সালে ছিল প্রায় ৭,৫০০ টাকা, যা ২০২৫ সালে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৯,০০০ টাকা।
রয়েল কফি মেশিনের দাম ও বৈশিষ্ট্য
রয়েল একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্র্যান্ড যা বিশেষত ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে ব্যবহারের জন্য বেশি জনপ্রিয়। এর কফি মেশিনগুলো বড় ক্ষমতার এবং দীর্ঘস্থায়ী।
-
দামের সীমা (২০২৫): ২৫,০০০ – ৫৫,০০০ টাকা
-
জনপ্রিয় মডেল: Royal Classic 350, Royal Barista Pro
-
বৈশিষ্ট্য:
-
উন্নত হিট কন্ট্রোল সিস্টেম
-
শক্তিশালী মোটর, একসাথে একাধিক কাপ কফি তৈরি
-
স্টেইনলেস স্টিল বডি
-
অফিস বা ছোট ব্যবসায়ের জন্য উপযোগী
-
উদাহরণ: Royal Classic 350 এর দাম ২০২৪ সালে ছিল প্রায় ২৫,০০০ টাকা, ২০২৫ সালে এটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৮,০০০ – ৩০,০০০ টাকা।
নেসলে কফি মেশিনের দাম ও বৈশিষ্ট্য
নেসলে মূলত Nespresso সিরিজ এর ক্যাপসুল কফি মেশিনের জন্য পরিচিত। যারা বাড়িতে বা অফিসে দ্রুত কফি বানাতে চান তাদের জন্য এটি আদর্শ।
-
দামের সীমা (২০২৫): ২৫,০০০ – ৪৫,০০০ টাকা
-
জনপ্রিয় মডেল: Nespresso Inissia, Nespresso Essenza Mini
-
বৈশিষ্ট্য:
-
ক্যাপসুল বেসড সিস্টেম
-
উন্নত প্রেসার টেকনোলজি (১৯ বার প্রেসার)
-
দ্রুত হিটিং সিস্টেম (৩০ সেকেন্ডে প্রস্তুত)
-
বিভিন্ন ফ্লেভারের ক্যাপসুল ব্যবহারযোগ্য
-
উদাহরণ: Nespresso Inissia মডেলের দাম ২০২৪ সালে ছিল প্রায় ২৫,০০০ টাকা, ২০২৫ সালে এটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৮,০০০ – ৩২,০০০ টাকা।
ফিলিপস কফি মেশিনের দাম ও বৈশিষ্ট্য
ফিলিপস কফি মেশিন বাংলাদেশে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দীর্ঘস্থায়ী এবং বৈচিত্র্যময় ফিচারের কারণে এটি বাড়ি ও অফিস দুই জায়গার জন্যই উপযুক্ত।
-
দামের সীমা (২০২৫): ১২,০০০ – ৩৫,০০০ টাকা
-
জনপ্রিয় মডেল: Philips HD7431, Philips EP2220
-
বৈশিষ্ট্য:
-
ড্রিপ কফি মেকার এবং এসপ্রেসো মেশিন উভয় ধরনের মডেল পাওয়া যায়
-
অটোমেটিক ক্লিনিং সিস্টেম
-
মিল্ক ফ্রথার যুক্ত মডেল
-
দ্রুত পানি গরম করার সুবিধা
-
উদাহরণ: Philips HD7431 এর দাম ২০২৪ সালে ছিল প্রায় ১২,০০০ টাকা, ২০২৫ সালে এটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৫,০০০ টাকা।
ডেলংগি কফি মেশিনের দাম ও বৈশিষ্ট্য
ডেলংগি একটি প্রিমিয়াম আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। যারা ক্যাফে গ্রেড কফির অভিজ্ঞতা চান তাদের জন্য ডেলংগি অন্যতম সেরা।
-
দামের সীমা (২০২৫): ৩০,০০০ – ৬০,০০০ টাকা
-
জনপ্রিয় মডেল: Delonghi Dedica EC685, Delonghi Magnifica S
-
বৈশিষ্ট্য:
-
হাই প্রেসার পাম্প (১৫ – ১৯ বার)
-
অটোমেটিক মিল্ক ফ্রথিং সিস্টেম
-
টেকসই বডি ও ইউজার–ফ্রেন্ডলি কন্ট্রোল
-
পেশাদার এসপ্রেসো প্রস্তুতের জন্য উপযুক্ত
-
উদাহরণ: Delonghi Dedica EC685 মডেলের দাম ২০২৪ সালে ছিল প্রায় ৩৫,০০০ টাকা, ২০২৫ সালে এটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০,০০০ – ৪৫,০০০ টাকা।
বোশ কফি মেশিনের দাম ও বৈশিষ্ট্য
বোশ মূলত অফিস ও ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য বেশি উপযোগী। এর মেশিনগুলো বড় ক্ষমতার, টেকসই এবং আধুনিক ডিজাইনের।
-
দামের সীমা (২০২৫): ৩৫,০০০ – ৬৫,০০০ টাকা
-
জনপ্রিয় মডেল: Bosch TIS30321, Bosch Tassimo Series
-
বৈশিষ্ট্য:
-
স্মার্ট টাচ কন্ট্রোল
-
একসাথে একাধিক কাপ কফি তৈরি
-
স্বয়ংক্রিয় ক্লিনিং ফাংশন
-
অফিস বা রেস্টুরেন্টের জন্য আদর্শ
-
উদাহরণ: Bosch Tassimo সিরিজের দাম ২০২৪ সালে ছিল প্রায় ৩০,০০০ টাকা, ২০২৫ সালে এটি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৮,০০০ – ৪২,০০০ টাকা।
ব্র্যান্ডভেদে কফি মেশিনের তুলনামূলক দাম
ব্র্যান্ড | পুরনো দাম (২০২৪) | নতুন দাম (২০২৫) | বৈশিষ্ট্য |
---|---|---|---|
ওয়ালটন | ৫,০০০ – ১৫,০০০ টাকা | ৭,০০০ – ১৮,০০০ টাকা | বাজেট–ফ্রেন্ডলি, স্থানীয় সার্ভিস |
রয়েল | ২০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা | ২৫,০০০ – ৫৫,০০০ টাকা | অফিস ও ক্যাফের জন্য উপযুক্ত |
নেসলে | ২০,০০০ – ৪০,০০০ টাকা | ২৫,০০০ – ৪৫,০০০ টাকা | ক্যাপসুল কফি মেশিন, দ্রুত কফি প্রস্তুত |
ফিলিপস | ১০,০০০ – ৩০,০০০ টাকা | ১২,০০০ – ৩৫,০০০ টাকা | টেকসই, বাড়ি ও অফিস উভয়ের জন্য |
ডেলংগি | ২৫,০০০ – ৫০,০০০ টাকা | ৩০,০০০ – ৬০,০০০ টাকা | প্রিমিয়াম এসপ্রেসো মেশিন |
বোশ | ৩০,০০০ – ৬০,০০০ টাকা | ৩৫,০০০ – ৬৫,০০০ টাকা | অফিস ও ব্যবসায়িক ব্যবহারের জন্য |
বাংলাদেশে কফি মেশিনের ব্যবহার এখন আর কেবল শহুরে অভিজাত শ্রেণির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ক্রমবর্ধমান কর্মসংস্থান, অফিস সংস্কৃতি, ক্যাফে ব্যবসার সম্প্রসারণ এবং তরুণ প্রজন্মের কফি–প্রেম কফি মেশিনের চাহিদাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে বাজারে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ব্র্যান্ডের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
কফি মেশিনের ধরনভেদে বাজার প্রভাব
প্রতিটি ধরনের কফি মেশিন বাজারে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলছে।
-
ম্যানুয়াল মেশিন: কম দাম এবং সহজলভ্যতার কারণে সাধারণ পরিবারে জনপ্রিয়।
-
অটোমেটিক মেশিন: অফিস ও ছোট ব্যবসায়ে বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ ব্যস্ত সময়ে দ্রুত কফি প্রস্তুত করা যায়।
-
ক্যাপসুল মেশিন: শহরের আধুনিক পরিবারের মধ্যে জনপ্রিয়, তবে ক্যাপসুলের বাড়তি খরচ একটি সীমাবদ্ধতা।
-
এসপ্রেসো মেশিন: কফি শপ ও ক্যাফের মূল আকর্ষণ, পেশাদার মানের কফি প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়।
কিস্তিতে কফি মেশিন কেনার সুবিধা
বাংলাদেশে কফি মেশিনের দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতা কিস্তির সুবিধা ব্যবহার করেন।
-
ওয়ালটন শোরুম: ৩ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত সহজ কিস্তিতে কেনার সুযোগ দেয়।
-
ই–কমার্স প্ল্যাটফর্ম: দারাজ, আজকেরডিলসহ অনেক প্ল্যাটফর্ম ব্যাংক কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য ইন্টারেস্ট–ফ্রি কিস্তি অফার করে।
-
ইলেকট্রনিক্স স্টোর: যেসব স্টোরে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড পাওয়া যায় সেখানেও কিস্তি সুবিধা যুক্ত হয়েছে।
এর ফলে অনেকেই এককালীন উচ্চমূল্য না দিয়ে ধীরে ধীরে টাকা পরিশোধ করে উচ্চমানের কফি মেশিন কিনতে পারছেন।
কফি মেশিনের সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা
একটি কফি মেশিন দীর্ঘ সময় ভালোভাবে ব্যবহার করতে হলে নিয়মিত পরিচর্যা অপরিহার্য।
-
দৈনিক যত্ন: প্রতিবার ব্যবহার শেষে ফিল্টার, কফি ধারক ও স্টিমার পরিষ্কার করতে হবে।
-
সাপ্তাহিক পরিষ্কার: পানি ধারক ও ফিল্টার গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
-
মাসিক ডিপ ক্লিনিং: বাজারে পাওয়া যায় এমন বিশেষ ক্লিনিং সল্যুশন দিয়ে ভেতরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে।
-
সার্ভিস চেক: বছরে অন্তত একবার সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে গিয়ে সম্পূর্ণ মেশিন পরীক্ষা করা উচিত।
সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে মেশিনের আয়ুষ্কাল বাড়ে এবং কফির স্বাদ অপরিবর্তিত থাকে।
ওয়ারেন্টি ও বিক্রয়োত্তর সেবা
কফি মেশিন কেনার সময় ওয়ারেন্টি ও সার্ভিস সাপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ।
-
ওয়ালটন সাধারণত ১ থেকে ২ বছরের ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে।
-
রয়েল ও নেসলে ব্র্যান্ড উন্নত বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করে।
-
আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড যেমন ডেলংগি ও বোশের জন্য অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে মেরামতের সুবিধা পাওয়া যায়।
এর ফলে যেকোনো সমস্যায় সহজেই মেশিন মেরামত ও প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়।
উপসংহার – কফি মেশিন এখন কেনার সঠিক সময় কি?
২০২৫ সালে কফি মেশিনের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে প্রযুক্তি ও ফিচারের দিক থেকে আগের তুলনায় অনেক উন্নত মডেল পাওয়া যাচ্ছে। যারা অফিস বা ব্যবসায়ের জন্য কিনতে চান তাদের জন্য এখনই সঠিক সময়, কারণ কিস্তি সুবিধা ও উন্নত ব্র্যান্ডের সহজলভ্যতা বাজারে বিদ্যমান। তবে গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য বাজেট–ফ্রেন্ডলি ওয়ালটন বা ফিলিপস মডেল যথেষ্ট হবে।
FAQ – সাধারণ জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন ১: কফি মেশিন কেনার জন্য কোন ব্র্যান্ড সবচেয়ে ভালো?
উত্তর: বাজেট অনুযায়ী ওয়ালটন ও ফিলিপস ভালো, আর প্রিমিয়াম মানের জন্য নেসলে, ডেলংগি বা বোশ সেরা।
প্রশ্ন ২: ক্যাপসুল কফি মেশিন কি সাশ্রয়ী?
উত্তর: প্রথমে দাম বেশি হলেও ব্যবহারকারীদের জন্য এটি সময় বাঁচায় এবং ক্যাফে–মানের কফি প্রদান করে, তবে ক্যাপসুলের আলাদা খরচ রয়েছে।
প্রশ্ন ৩: কফি মেশিনের আয়ুষ্কাল কতদিন?
উত্তর: সঠিকভাবে ব্যবহার ও নিয়মিত পরিচর্যা করলে একটি মানসম্মত কফি মেশিন ৫ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।
সর্বশেষ হালনাগাদ: আগস্ট ২০২৫