বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মধ্যে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে। বিশেষ করে ২০২৪ সালে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখার প্রবণতা বাড়ার কারণে বাংলাদেশে অলিভ অয়েল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অলিভ অয়েলের দাম, গুণগত মান এবং সহজলভ্যতা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল যা সর্বাধিক শুদ্ধ এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তা সম্পর্কে জানার আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের ব্যবহার একসময় সীমিত ছিল তবে বর্তমান সময়ে এটি শুধুমাত্র রান্নার উপকরণ নয়, বরং ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত কাজেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ কারণে বাজারে এর দামের পরিবর্তন ও ক্রেতাদের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা ২০২৪ সালে বাংলাদেশে অলিভ অয়েল তেলের দাম কত হতে পারে এর প্রকারভেদ, উপকারিতা এবং কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করব।
অলিভ অয়েল কী
অলিভ অয়েল হল জলপাই ফল থেকে নিষ্কাশিত তেল যা মূলত ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। জলপাই ফলের মাংসল অংশ থেকে সরাসরি চেপে যে তেল পাওয়া যায় সেটিই হলো অলিভ অয়েল। এটি প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়:
- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল (Extra Virgin Olive Oil): এটি প্রাকৃতিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং এতে কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়াকরণ করা হয় না। এর গুণমান সবচেয়ে বেশি এবং এতে কোনো প্রিজারভেটিভও থাকে না।
- রিফাইনড অলিভ অয়েল (Refined Olive Oil): এটি একটি পরিশোধিত তেলযা বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় এবং এর স্বাদ ও গুণমান কিছুটা হ্রাস পায়।
আরো পড়ুনঃ অর্গানিক হেয়ার অয়েল দাম কত
অলিভ অয়েলের প্রধান উপাদান হলো মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর দাম কত
২০২৪ সালে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বাংলাদেশে একটি প্রিমিয়াম পণ্য হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এর দাম অন্যান্য তেলের তুলনায় বেশি। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের দাম নির্ভর করে এর মান, উৎপত্তি দেশ এবং ব্র্যান্ডের ওপর। আন্তর্জাতিক বাজারে যেমন দাম নির্ধারণ করা হয় তেমনই বাংলাদেশেও এর উপর কর এবং আমদানি খরচ যুক্ত হওয়ার ফলে এর দাম ওঠানামা করে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের আন্তর্জাতিক দাম প্রতি লিটার প্রায় ১০ থেকে ২০ মার্কিন ডলার হতে পারে যা বাংলাদেশে প্রায় ১,২০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে। তবে দেশের ভেতরে কিছু ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী মূল্যে অফার করে। বিশেষ করে অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিভিন্ন ডিসকাউন্ট এবং অফারের কারণে দাম কিছুটা কম হয়।
অলিভ অয়েল তেলের দাম কত – ১ লিটার অলিভ অয়েল এর দাম কত
বাংলাদেশে ২০২৪ সালে ১ লিটার অলিভ অয়েলের দাম নির্ভর করে তেলের ধরন এবং ব্র্যান্ডের উপর। সাধারণত বাজারে তিন ধরনের অলিভ অয়েল পাওয়া যায়: এক্সট্রা ভার্জিন, ভার্জিন এবং রিফাইনড। এদের মধ্যে এক্সট্রা ভার্জিন সবচেয়ে উচ্চমানের এবং দামেও বেশি।
- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল: প্রতি লিটার প্রায় ১,২০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
- ভার্জিন অলিভ অয়েল: এর দাম কিছুটা কম সাধারণত প্রতি লিটার ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা।
- রিফাইনড অলিভ অয়েল: এটি সাধারণত ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় কারণ এটি প্রক্রিয়াজাত এবং এর গুণমান কিছুটা কম।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন দারাজ, সিন্দাবাদ এবং স্থানীয় দোকানগুলোতে দাম কিছুটা পার্থক্য হতে পারে, তাই ক্রেতাদের সবসময় দাম তুলনা করে কেনা উচিত।
অলিভ অয়েল কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত
অলিভ অয়েল কেনার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত যাতে আপনি ভালো মানের তেল কিনতে পারেন:
- তেলের ধরন: আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ও প্রাকৃতিক অলিভ অয়েল চান, তাহলে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বেছে নিন। এটি পরিশোধন ছাড়া তৈরি এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ।
- উৎপাদনের তারিখ: অলিভ অয়েল দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যায় না তাই প্যাকেজিংয়ের তারিখ এবং মেয়াদ শেষের তারিখ দেখে কিনুন।
- প্যাকেজিং: অলিভ অয়েল সাধারণত গাঢ় রঙের বোতলে আসে যা আলো থেকে সুরক্ষা দেয়। সঠিকভাবে প্যাকেজিং না করা হলে তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
- ব্র্যান্ড ও উৎস: বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড থেকে তেল কেনা উচিত। অনেক সময় কম দামে নকল তেল পাওয়া যায় যা গুণগত মান বজায় রাখতে পারে না।
- টেস্টিং: আসল এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের স্বাদ একটু কড়া এবং তেতো হতে পারে। যদি স্বাদ মিষ্টি হয় তাহলে তা হতে পারে নকল বা মিশ্রিত তেল।
বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের বাজার – অলিভ অয়েল তেলের দাম কত
বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে অলিভ অয়েলের বাজার ক্রমশ বেড়ে চলেছে। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে এই তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে অলিভ অয়েল শুধুমাত্র উচ্চ আয়ের মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু বর্তমানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যেও এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুনঃ পেস্তা বাদামের দাম
বাংলাদেশে মূলত আমদানি করা অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। বেশিরভাগ তেল আসে ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে যেমন ইতালি, স্পেন এবং গ্রিস। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ থেকেও তেল আমদানি হয়। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানও এই তেল বিক্রি করছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানীয় ব্র্যান্ড সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের অলিভ অয়েল সরবরাহ করছে যা ক্রেতাদের জন্য একটি সুবিধাজনক বিকল্প।
অলিভ অয়েলের উপকারিতা
অলিভ অয়েল শুধুমাত্র রান্নার জন্য উপকারী নয় এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বহুমুখী উপকারিতা প্রদান করে। বিশেষ করে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এখানে অলিভ অয়েলের কিছু প্রধান উপকারিতা উল্লেখ করা হলো:
- হৃদরোগ প্রতিরোধ: অলিভ অয়েলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট হার্টের জন্য উপকারী। এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত অলিভ অয়েল খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। কারণ এটি স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে যা ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয়।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস: এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং বার্ধক্য রোধে সহায়ক হয়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: গবেষণায় দেখা গেছে যে অলিভ অয়েল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।
- ত্বক এবং চুলের যত্ন: অলিভ অয়েল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়ক এবং চুলের পুষ্টি জোগায়। এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং চুলের খুশকি প্রতিরোধে কার্যকরী।
অলিভ অয়েল নিয়মিত ব্যবহারে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং এটি অনেক রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের বিকল্প ব্যবহার
বাংলাদেশে অলিভ অয়েল মূলত রান্নার জন্য ব্যবহৃত হলেও এর বেশ কয়েকটি বিকল্প ব্যবহার রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প ব্যবহারের দিক তুলে ধরা হলো:
- ত্বকের যত্নে: অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক। এটি শুষ্ক ত্বকে ব্যবহারে ভালো ফলাফল দেয়। এছাড়াও ত্বকে মৃদু ম্যাসাজের জন্য এটি ব্যবহার করা যায়।
- চুলের যত্নে: চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং খুশকির সমস্যা দূর করতে অলিভ অয়েল খুবই কার্যকরী। এটি স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায়।
- মেকআপ রিমুভার: অলিভ অয়েল একটি প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে শুষ্ক না করে মেকআপ সরিয়ে দেয়।
- নখের যত্নে: নখের যত্নেও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যায়। এটি নখকে শক্তিশালী করে এবং নখের চারপাশের ত্বককে মোলায়েম করে।
- হালকা জ্বালাপোড়া বা ক্ষত: ছোটখাট পুড়ে যাওয়া বা কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে অলিভ অয়েল লাগালে দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
এইসব ব্যবহারগুলো অলিভ অয়েলের বহুমুখী উপকারিতার দিকগুলোকে স্পষ্ট করে তুলে ধরে যা সাধারণত রান্নার বাইরে বিবেচনা করা হয় না।
বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের দাম কীভাবে পরিবর্তিত হয়
বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আন্তর্জাতিক বাজারে জলপাই উৎপাদন, পরিবহন ব্যয় এবং মুদ্রার বিনিময় হার দ্বারা বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের দাম নির্ধারিত হয়। কিছু প্রধান কারণ যা বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের দাম ওঠানামা করে তা হলো:
- আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব: আন্তর্জাতিক বাজারে জলপাই উৎপাদন হ্রাস বা বৃদ্ধি সরাসরি বাংলাদেশের অলিভ অয়েলের দামের উপর প্রভাব ফেলে। প্রধান জলপাই উৎপাদনকারী দেশগুলো যেমন স্পেন, ইতালি এবং গ্রিসের উৎপাদন কমে গেলে দাম বাড়তে থাকে। একইভাবে যদি উৎপাদন ভালো হয় তাহলে দাম কিছুটা কমে।
- আমদানির খরচ: অলিভ অয়েল মূলত আমদানি নির্ভর হওয়ায় আন্তর্জাতিক পরিবহন ব্যয় এবং শুল্ক বাংলাদেশের বাজারে এর দাম বাড়িয়ে দেয়। তেলের আমদানি শুল্ক এবং ভ্যাটের কারণে স্থানীয় বাজারে দাম তুলনামূলকভাবে বেশি।
- মুদ্রার বিনিময় হার: ডলারের সাথে টাকার বিনিময় হার বাংলাদেশের অলিভ অয়েলের দামে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। টাকার মান কমে গেলে আমদানির খরচ বেড়ে যায় যার ফলে তেলের দামও বৃদ্ধি পায়।
- বাজারের চাহিদা: বাংলাদেশে স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে অলিভ অয়েলের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। চাহিদা বাড়লে সরবরাহের ওপর চাপ পড়ে এবং এর ফলে দাম বাড়তে থাকে।
এছাড়া উৎসবকালীন সময়ে বা বিশেষ অফার এবং ডিসকাউন্টের কারণে কিছু সময় দাম কমতে পারে, তবে এটি সাময়িক এবং সীমিত সময়ের জন্য হয়ে থাকে।
এক্সট্রা ভার্জিন বনাম রিফাইনড অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলের দুই প্রধান ধরন হলো এক্সট্রা ভার্জিন এবং রিফাইনড। এই দুই ধরনের তেলের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং পুষ্টিগুণ। এখানে তাদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
উৎপাদন প্রক্রিয়া:
- এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল: এটি কোনো রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই সরাসরি জলপাই ফল থেকে নিষ্কাশন করা হয়। এই তেল সবচেয়ে বিশুদ্ধ এবং এতে পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ণ থাকে।
- রিফাইনড অলিভ অয়েল: এটি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শুদ্ধ করা হয় এবং এতে অতিরিক্ত তাপ ব্যবহার করা হয়। ফলে তেলের প্রাকৃতিক স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ কমে যায়।
স্বাদ ও গন্ধ:
- এক্সট্রা ভার্জিন: এই তেলের স্বাদ এবং গন্ধ বেশি তীক্ষ্ণ এবং এতে ফলের প্রাকৃতিক স্বাদ থাকে।
- রিফাইনড: এই তেল সাধারণত স্বাদহীন হয় এবং রান্নায় তেমন প্রভাব ফেলে না।
পুষ্টিগুণ:
- এক্সট্রা ভার্জিন: এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
- রিফাইনড: রিফাইনড প্রক্রিয়ার কারণে এর পুষ্টিগুণ কমে যায় এবং এতে থাকা স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ব্যবহার:
- এক্সট্রা ভার্জিন: এটি সাধারণত কাঁচা অবস্থায় স্যালাড ড্রেসিং বা হালকা ভাজায় ব্যবহৃত হয়।
- রিফাইনড: এটি উচ্চ তাপে রান্নার জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়, যেমন ভাজা বা বেকিং।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অলিভ অয়েলের দাম তুলনা
বাংলাদেশে অলিভ অয়েল কেনার জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যা অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই পাওয়া যায়। এখানে কিছু প্রধান প্ল্যাটফর্ম এবং সেখানে অলিভ অয়েলের দাম তুলনা করে দেখানো হলো:
- দারাজ (Daraz): দারাজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোর একটি। এখানে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এবং অন্যান্য ধরনের অলিভ অয়েল পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দাম প্রায় ১,০০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
- সিন্দাবাদ (Sindabad): সিন্দাবাদ একটি কর্পোরেট অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে অলিভ অয়েলের বিভিন্ন ধরনের বিকল্প পাওয়া যায়। এখানেও দাম প্রায় একই রকম থাকে তবে কিছু বিশেষ অফারের কারণে কিছুটা কম দামেও পাওয়া যায়।
- স্থানীয় সুপার শপ: বড় সুপারশপ যেমন আগোরা, শপনায়ও অলিভ অয়েল বিক্রি হয়। এই দোকানগুলোতে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পাশাপাশি কিছু স্থানীয় ব্র্যান্ডও পাওয়া যায় যার ফলে দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি হতে পারে।
- স্ট্যান্ডার্ড ব্র্যান্ড: আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড যেমন Borges, Bertolli এবং Figaro বাংলাদেশে ভালো চাহিদা রয়েছে। এই ব্র্যান্ডগুলো সাধারণত প্রিমিয়াম দামে বিক্রি হয় এবং এদের মানও বেশি নির্ভরযোগ্য। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের দাম এখানে ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ টাকার মধ্যে থাকতে পারে।
আরো পড়ুনঃ নন্দিনী ফুল গাছের দাম
ক্রেতাদের জন্য অনলাইন এবং অফলাইন দোকানে দাম তুলনা করে কিনলে সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের তেল পাওয়ার সুযোগ থাকে।
উপসংহার – অলিভ অয়েল তেলের দাম কত
২০২৪ সালে বাংলাদেশে অলিভ অয়েলের বাজার ক্রমশ উন্নত হচ্ছে যা স্বাস্থ্য সচেতনতার ফলস্বরূপ। বিভিন্ন ধরনের অলিভ অয়েলের মধ্যে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় কারণ এটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক তেল হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে এর দামও অন্যান্য তেলের তুলনায় বেশি। রিফাইনড অলিভ অয়েল সাশ্রয়ী হলেও এর পুষ্টিগুণ কিছুটা কম।
ক্রেতাদের জন্য সঠিক অলিভ অয়েল নির্বাচন করতে হলে এর ধরন, মান এবং দাম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা প্রয়োজন। স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং প্ল্যাটফর্মে দাম তুলনা করা উচিত। বিশেষ করে যদি ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের তেল কিনতে চান।
অলিভ অয়েল শুধু স্বাস্থ্যকর রান্নার জন্য নয় বরং ত্বক এবং চুলের যত্নেও বহুল ব্যবহৃত হয়। এর উপকারিতা এবং বহুমুখী ব্যবহারের কারণে এটি বাংলাদেশের ক্রেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। ভবিষ্যতে এই বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়।
এতে আপনারা জানতে পারবেন বর্তমান বাজার অনুযায়ী অলিভ অয়েল তেলের মূল্য কত এবং কোন ব্র্যান্ডটি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। এছাড়াও, নিচে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অলিভ অয়েলের মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে, যা আপনাকে কেনাকাটায় সহায়তা করবে।