লটকন বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মৌসুমি ফল। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে এই ফল বাজারে আসে এবং শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ লটকন খেতে ভালোবাসে। এর স্বাদ মিষ্টি-টক এবং রসালো হওয়ায় গরমের দিনে খাওয়ার জন্য বেশ উপযোগী। স্থানীয় ভাষায় একে অনেকে “বুগলী” বা “ভেলভেল” নামেও চেনে। শুধু স্বাদের জন্য নয়, লটকনের পুষ্টিগুণও অনেক। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
লটকন গাছের চারা কেন গুরুত্বপূর্ণ
লটকন গাছ থেকে ফল পেতে হলে প্রথমেই ভালো মানের চারা নির্বাচন করা জরুরি। সুস্থ ও মানসম্পন্ন চারা রোপণ করলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং নির্দিষ্ট সময়ে ফল দিতে শুরু করে। খারাপ মানের চারা হলে গাছ দুর্বল হয়, অনেক সময় ফল আসে না বা রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে কৃষক ও শখের বাগানপ্রেমীরা সবসময় চেষ্টা করেন বিশ্বস্ত নার্সারি বা উৎস থেকে লটকন চারা সংগ্রহ করতে।
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় লটকন চাষের উপযোগিতা
বাংলাদেশের আবহাওয়া লটকন চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলে এই ফল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। গ্রীষ্মের গরম ও বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া লটকন গাছের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে। একবার চারা লাগানো হলে এটি বহু বছর ফল দিতে থাকে, তাই দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যিক চাষের জন্যও এটি লাভজনক।
লটকন গাছের চারার দাম ২০২৫
সাধারণ লটকন চারা বনাম গ্রাফটেড (কলম) চারার দাম
লটকন গাছের দুটি ধরনের চারা পাওয়া যায় –
-
বীজ চারা (Seedling): বীজ থেকে উৎপন্ন হওয়ায় এগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে কম। তবে এ ধরনের চারা থেকে ফল আসতে সময় লাগে ৪–৫ বছর।
-
গ্রাফটেড বা কলম চারা (Grafted/Layered): কলমের মাধ্যমে উৎপন্ন চারা তুলনামূলক দামী, কিন্তু এ ধরনের চারায় ২–৩ বছরের মধ্যেই ফল আসতে শুরু করে।
২০২৫ সালে সাধারণ বীজ চারার দাম প্রতি চারা ৪০–৮০ টাকা। অন্যদিকে গ্রাফটেড বা কলম চারার দাম গড়ে ১৫০–২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে মান ও জায়গাভেদে দাম কিছুটা কমবেশি হতে পারে।
বিভিন্ন অঞ্চলে লটকন চারার গড় বাজারদর
-
ঢাকা ও গাজীপুর: এখানে উন্নতমানের কলম চারা বেশি পাওয়া যায়, দাম ২০০–২৫০ টাকা।
-
নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী: গড় দাম ১৫০–২০০ টাকা।
-
চট্টগ্রাম ও সিলেট: পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় দাম ১৮০–২৫০ টাকার মধ্যে।
-
গ্রামাঞ্চল ও স্থানীয় বাজার: অনেক সময় সাধারণ বীজ চারা ৫০–৮০ টাকায় পাওয়া যায়।
অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও নার্সারির চারার দাম তুলনা
বর্তমানে অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন ফেসবুক পেজ, ই-কমার্স সাইট (দারাজ, আজকেরডিল ইত্যাদি) এবং বিশেষায়িত নার্সারি ওয়েবসাইট লটকন গাছের চারা বিক্রি করছে।
-
অনলাইনে সাধারণত কলম চারার দাম ২০০–৩০০ টাকা।
-
কিছু প্রিমিয়াম নার্সারি বিশেষ মানের চারা ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে থাকে।
তবে অনলাইনে কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই রিভিউ দেখে এবং বিশ্বস্ত উৎস থেকে কিনতে হবে।
২০২৪ ও ২০২৫ সালের দামের পার্থক্য বিশ্লেষণ
গত এক বছরে লটকন চারার দামে কিছুটা বৃদ্ধি হয়েছে।
-
২০২৪ সালে সাধারণ চারা গড়ে ৩০–৬০ টাকা এবং কলম চারা ১২০–১৮০ টাকা ছিল।
-
২০২৫ সালে এসে এই দাম প্রায় ২০–৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর প্রধান কারণ হলো কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং বাজারে কলম চারার চাহিদা বৃদ্ধি।
লটকন গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায়
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় এখন ছোট-বড় নার্সারি রয়েছে, যেখানে মৌসুমি ও ফলজ গাছের চারা বিক্রি হয়। স্থানীয় নার্সারিতে গেলে সরাসরি চারার মান দেখে কেনা যায়। নার্সারির মালিক বা কর্মীরা সাধারণত চারার যত্ন ও রোপণের বিষয়ে পরামর্শ দেন, যা নতুন কৃষক বা শখের বাগানিদের জন্য বেশ সহায়ক। দামও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হয় এবং দর কষাকষি করার সুযোগ থাকে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (DAE) এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত মানের লটকন চারা বিতরণ করা হয়। এসব কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করা চারা সাধারণত রোগমুক্ত ও পরীক্ষিত জাতের হয়ে থাকে। দামও বাজারমূল্যের তুলনায় অনেক সময় কম হয়, কারণ সরকার কৃষকদের উৎসাহিত করতে ভর্তুকি প্রদান করে।
অনলাইনে লটকন গাছের চারা অর্ডার করার সুবিধা ও অসুবিধা
বর্তমানে অনলাইনে চারা কেনা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকের বাগান বিষয়ক গ্রুপ, অনলাইন নার্সারি এবং ই-কমার্স সাইটে লটকন চারা সহজেই পাওয়া যায়।
সুবিধা:
-
ঘরে বসেই অর্ডার করার সুবিধা।
-
বিভিন্ন মানের চারা একসাথে তুলনা করা যায়।
-
দেশের যেকোনো প্রান্তে ডেলিভারি পাওয়া যায়।
অসুবিধা:
-
চারার মান সরাসরি যাচাই করা যায় না।
-
পরিবহনের সময় চারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
-
কিছু অসাধু বিক্রেতা নকল বা নিম্নমানের চারা পাঠাতে পারে।
আসল ও নকল চারার পার্থক্য কিভাবে বুঝবেন
চারার মান যাচাই করার জন্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে –
-
পাতা: সবুজ, চকচকে ও দাগহীন হওয়া উচিত।
-
ডাল: কচি ডাল ভঙ্গুর হলে বোঝা যায় গাছ সুস্থ।
-
মূল: পলিব্যাগে থাকা চারা কিনলে দেখা উচিত শিকড় ঠিক আছে কিনা।
-
কলম চারা: কলমের জায়গায় সঠিকভাবে গ্রাফটেড হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে।
লটকন গাছের চারা নির্বাচন করার টিপস
সুস্থ চারার পাতা সবুজ, ডগা সতেজ এবং গাছের ডালপালা দৃঢ় থাকে। কোনো প্রকার ছত্রাক বা পোকার আক্রমণ যেন না থাকে।
লটকন চারা কেনার সময় বয়স ৬–১২ মাস হলে ভালো। খুব ছোট চারা লাগালে টিকে থাকার ঝুঁকি বেশি, আর খুব পুরনো চারা লাগালে শিকড় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কলম চারা বনাম বীজ চারা – কোনটি ভালো
-
কলম চারা: দ্রুত ফল দেয়, মান বজায় থাকে এবং গাছে ফলন বেশি হয়। তবে দাম কিছুটা বেশি।
-
বীজ চারা: দাম সস্তা, কিন্তু ফল আসতে দেরি হয় এবং ফলের মানে ভিন্নতা দেখা যায়।
ব্যবসায়িক চাষের জন্য কলম চারা বেশি উপযোগী, তবে শখের বাগানের জন্য বীজ চারা লাগানোও সম্ভব।
লটকন চারা পরিবহনের সময় করণীয়
চারা পরিবহনের সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি:
-
চারাকে শক্তভাবে বাঁধাই করতে হবে।
-
শিকড় শুকিয়ে না যায় সে জন্য ভিজা কাপড় বা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত।
-
রোদ ও গরম বাতাস থেকে চারাকে রক্ষা করতে ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে।
লটকন চারা লাগানোর সঠিক সময় ও পদ্ধতি
লটকন গাছ উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে ভালো জন্মে। দো-আঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী। জলাবদ্ধ জমিতে লটকন চাষ করলে গাছ নষ্ট হয়ে যায়।
লটকন চারা লাগানোর সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো বর্ষা মৌসুম। এসময় মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকে, ফলে চারা দ্রুত মাটির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তবে শুষ্ক মৌসুমেও লাগানো যায়, যদি নিয়মিত সেচ দেওয়া সম্ভব হয়।
চারা লাগানোর ধাপ ধাপে নির্দেশিকা
-
২–৩ ফুট গভীর এবং ২–২.৫ ফুট চওড়া গর্ত খুঁড়তে হবে।
-
গর্তের মাটি ভালোভাবে ঝুরঝুরে করে জৈব সার (গোবর, কম্পোস্ট) মিশাতে হবে।
-
চারা পলিব্যাগসহ রেখে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
-
চারার গোড়ায় খুঁটি বেঁধে দিতে হবে, যাতে বাতাসে হেলে না পড়ে।
-
রোপণের পর পর্যাপ্ত পানি দিতে হবে।
চারার যত্ন ও পরিচর্যা
-
নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
-
মাসে একবার জৈব সার প্রয়োগ করা ভালো।
-
চারার গোড়ায় পানি জমতে দেওয়া যাবে না।
-
পোকামাকড় হলে প্রাথমিক পর্যায়ে জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত।
লটকন গাছ চাষে খরচ ও লাভের হিসাব
চারা কেনা থেকে রোপণ পর্যন্ত খরচ
লটকন গাছ চাষ শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথম বিনিয়োগ হয় চারা কেনার মাধ্যমে।
-
চারা কেনার খরচ: একটি কলম চারা গড়ে ২০০–২৫০ টাকা (২০২৫ সালের বাজারদর)।
-
পরিবহন খরচ: দূরের নার্সারি থেকে কিনলে প্রতি চারায় অতিরিক্ত ২০–৩০ টাকা খরচ হতে পারে।
-
রোপণ খরচ: গর্ত খোঁড়া, মাটি ঝুরঝুরে করা, জৈব সার প্রয়োগ—সব মিলিয়ে প্রতি চারায় ৫০–৮০ টাকা খরচ হয়।
এক বিঘা জমিতে প্রায় ৫০–৬০টি লটকন চারা লাগানো যায়। সে অনুযায়ী প্রাথমিক বিনিয়োগ দাঁড়ায় প্রায় ১৫,০০০–২০,০০০ টাকা।
সার, পানি ও যত্নের ব্যয়
-
প্রতি চারায় বছরে প্রায় ১৫০–২০০ টাকার জৈব সার লাগে।
-
সেচ ও আগাছা পরিষ্কারে বছরে প্রতি চারায় গড়ে ৫০–১০০ টাকা খরচ হয়।
-
রোগবালাই দমনের জন্য জৈব কীটনাশক বা ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার করতে হতে পারে, যার খরচ প্রতি চারায় প্রায় ৫০ টাকা।
সবমিলিয়ে এক বিঘা জমির বাৎসরিক যত্নে খরচ হয় আনুমানিক ৮,০০০–১০,০০০ টাকা।
ফল ধরতে কত সময় লাগে
-
কলম চারা: ২–৩ বছরেই ফল আসতে শুরু করে।
-
বীজ চারা: ৪–৫ বছর পর ফল ধরে।
একটি পূর্ণবয়স্ক লটকন গাছ থেকে বছরে ৮০–১৫০ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।
লটকন চাষ থেকে সম্ভাব্য লাভ
বর্তমানে বাজারে লটকনের গড় খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ৮০–১৫০ টাকা (অঞ্চলভেদে ভিন্নতা রয়েছে)। যদি প্রতি গাছ থেকে গড়ে ১০০ কেজি ফল পাওয়া যায়, তবে এক বিঘা জমির ৫০টি গাছ থেকে বছরে প্রায় ৪–৬ লাখ টাকা আয় সম্ভব। ব্যয় বাদ দিলে নিট লাভ দাঁড়ায় প্রায় ৩–৪ লাখ টাকা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় লটকন চারার দাম তুলনা
ঢাকা ও আশেপাশের এলাকা
ঢাকা, সাভার ও গাজীপুর এলাকায় লটকন চারার চাহিদা অনেক বেশি। এ অঞ্চলের নার্সারিগুলো সাধারণত উন্নতমানের কলম চারা সরবরাহ করে। দাম প্রতি চারায় ২০০–২৫০ টাকা।
গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী
এই তিন জেলায় লটকন বাগানের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এখানকার স্থানীয় নার্সারিতে চারা পাওয়া যায় ১৫০–২০০ টাকা দামে। অনেক সময় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে ভর্তুকি মূল্যে চারা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল
পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় এই অঞ্চলে দাম তুলনামূলক বেশি। কলম চারা পাওয়া যায় ১৮০–২৫০ টাকা দামে। সিলেট অঞ্চলে বীজ চারা অনেক সময় স্থানীয় বাজারে ৫০–৮০ টাকায় পাওয়া যায়।
বরিশাল, রাজশাহী ও উত্তরবঙ্গ
এইসব অঞ্চলে লটকন চাষ ততটা ব্যাপক নয়, তবে নার্সারিতে কলম চারা পাওয়া যায় ১৫০–২০০ টাকা দামে। গ্রামীণ হাটে মাঝে মাঝে সস্তায় বীজ চারা বিক্রি হয়।
লটকন গাছের চারা কেনার আগে করণীয়
সবসময় এমন নার্সারি থেকে চারা কিনতে হবে যেখান থেকে স্থানীয় কৃষকরা নিয়মিত সংগ্রহ করেন। যদি সম্ভব হয়, আগে থেকে সেই নার্সারির চারার মান যাচাই করে নিতে হবে।
চারা কেনার আগে অন্তত ২–৩টি নার্সারির দাম যাচাই করা ভালো। সাধারণত নগদে কিনলে কিছুটা ছাড় পাওয়া যায়।
-
পরিবহনের সময় শিকড় ভিজা রাখতে হবে।
-
রোদে সরাসরি না রেখে ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখতে হবে।
-
রোপণের আগে চারাকে ২–৩ দিন নার্সারির মতো যত্ন নিতে হবে, যাতে পরিবহনের ধকল কাটিয়ে উঠতে পারে।
উপসংহার
২০২৫ সালে সাধারণ বীজ চারা গড়ে ৪০–৮০ টাকা, আর গ্রাফটেড বা কলম চারা ১৫০–২৫০ টাকা। তবে অনলাইন ও উন্নত নার্সারিতে দাম ৩০০ টাকাও হতে পারে।
ভালো মানের চারা নির্বাচন করলে গাছ দ্রুত বাড়বে এবং ২–৩ বছরের মধ্যেই ফল আসতে শুরু করবে। এজন্য সুস্থ, কলম করা এবং বিশ্বস্ত নার্সারি থেকে কেনা চারা সবচেয়ে উত্তম।
আপনি যদি লটকন চাষে আগ্রহী হন, তবে এখনই মানসম্মত চারা সংগ্রহ করুন। লটকন গাছ শুধু সুস্বাদু ফলই দেয় না, বরং এটি একটি লাভজনক বিনিয়োগও হতে পারে। এই লেখাটি শেয়ার করুন, যাতে অন্যরাও হালনাগাদ বাজারদর ও তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।