বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য পাসপোর্ট হলো আন্তর্জাতিক ভ্রমণের অনুমোদনপত্র যা বিদেশে পরিচয় এবং জাতীয়তা প্রমাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই ডকুমেন্ট ছাড়া বিদেশে প্রবেশ, স্থানীয় সুবিধা গ্রহণ বা আইনি সহায়তা পাওয়া অসম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টসহ পাঁচ এবং দশ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। তবে অনেকেই এই প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে বিশদ ধারণা না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হন। এ আর্টিকেলের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া, খরচ এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা। বিশেষ করে “পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে” প্রশ্নটির সঠিক উত্তর দিতে আর্টিকেলটি সহায়ক হবে।
আরো পড়ুনঃ আমেরিকার ভিসা দাম
পাসপোর্টের ধরণ এবং মেয়াদ
বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে দুই ধরনের পাসপোর্ট সেবা দিচ্ছে যা নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ব্যবহৃত হয়:
- পাঁচ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট: এটি সাধারণত ব্যক্তিগত বা অস্থায়ী ভ্রমণকারীদের জন্য আদর্শ। যারা সাধারণত প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে পাসপোর্ট নবায়ন করেন না তাদের জন্য এটি কার্যকর।
- দশ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট: প্রবাসী বা স্থায়ী ভ্রমণকারীরা যারা প্রায়শ বিদেশ যাত্রা করেন তাদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদের এই পাসপোর্ট আদর্শ। এটি পুনরায় নবায়ন করার ঝামেলা থেকে বাঁচায় এবং দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা প্রদান করে।
এই দুই ধরণের পাসপোর্টের মধ্যে ভিন্নতা কেবল মেয়াদেই সীমাবদ্ধ নয় বরং খরচেও পার্থক্য রয়েছে। নিচে পাঁচ এবং দশ বছরের পাসপোর্টের খরচ এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট সেবা
বাংলাদেশ সরকার ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। ই-পাসপোর্ট হলো বায়োমেট্রিক এবং ইলেকট্রনিক নিরাপত্তার সাথে সংযুক্ত একটি পাসপোর্ট যা আন্তর্জাতিক মানের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
- ই-পাসপোর্টের বৈশিষ্ট্য: ই-পাসপোর্টে একটি চিপ থাকে যেখানে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য, আঙ্গুলের ছাপ এবং ছবিসহ বায়োমেট্রিক ডেটা সুরক্ষিত থাকে। এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং সহজে স্ক্যানযোগ্য হওয়ায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া দ্রুত করতে সহায়ক।
- ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে: ই-পাসপোর্টের খরচ মূলত এর মেয়াদ, নর্মাল এবং ইমার্জেন্সি প্রসেসিং ফি-এর ওপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে ই-পাসপোর্টের জন্য সাধারণত ৫ বছর ও ১০ বছরের জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে যা নিচে আলোকপাত করা হয়েছে।
পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৪
২০২৪ সালে পাসপোর্ট তৈরির জন্য খরচের পরিমাণ কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে এবং এটি দুই ধরনের প্রসেসিং টাইমে বিভক্ত: সাধারণ (নর্মাল) এবং জরুরি (ইমার্জেন্সি)।
- পাঁচ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট: সাধারণ প্রসেসিং ফি সাধারণত প্রায় ৩,৫০০ টাকা এবং জরুরি প্রসেসিং ফি প্রায় ৫,০০০ টাকা।
- দশ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট: সাধারণ প্রসেসিং ফি প্রায় ৫,০০০ টাকা এবং জরুরি প্রসেসিং ফি প্রায় ৭,০০০ টাকা।
ই-পাসপোর্টের জন্যও একই হার প্রযোজ্য। তবে এই খরচ বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে তাই সর্বশেষ তথ্য বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট থেকে যাচাই করা উচিত।
পাঁচ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশে পাঁচ বছরের মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য খরচ বেশ সাশ্রয়ী। নিচে এর খরচের বিবরণ দেওয়া হলো:
- সাধারণ প্রসেসিং (নর্মাল): পাঁচ বছরের মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ৩,৫০০ টাকা। সাধারণ প্রসেসিংয়ে সাধারণত পাসপোর্ট তৈরি হতে ১৫-২০ কর্মদিবস সময় লাগে।
- জরুরি প্রসেসিং (ইমার্জেন্সি): জরুরি পাসপোর্ট প্রসেসিংয়ের জন্য খরচ ৫,০০০ টাকা। জরুরি পাসপোর্টের জন্য ৭-১০ কর্মদিবস সময় প্রয়োজন হয়।
এই ধরণের পাসপোর্ট বেশিরভাগ ব্যক্তিগত ভ্রমণকারীদের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী এবং এটি কম খরচে সুলভ হয়।
দশ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
দশ বছরের মেয়াদি পাসপোর্ট প্রবাসী এবং নিয়মিত ভ্রমণকারীদের জন্য সেরা পছন্দ কারণ এতে পাসপোর্ট নবায়নের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘ সময়ের জন্য এড়ানো যায়। নিচে এর খরচের বিবরণ দেওয়া হলো:
- সাধারণ প্রসেসিং (নর্মাল): দশ বছরের মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য সাধারণ ফি ৫,০০০ টাকা এবং সাধারণ প্রসেসিংয়ে এটি পেতে প্রায় ১৫-২০ কর্মদিবস সময় লাগে।
- জরুরি প্রসেসিং (ইমার্জেন্সি): জরুরি প্রক্রিয়ায় দশ বছরের মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য খরচ ৭,০০০ টাকা এবং এটি ৭-১০ কর্মদিবসের মধ্যে সরবরাহ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ পর্তুগাল ভিসার দাম কত ২০২৪
এই দীর্ঘমেয়াদি পাসপোর্টটি নিয়মিত বিদেশ যাত্রায় সুবিধাজনক এবং এতে বায়োমেট্রিক ডেটা সুরক্ষিত থাকে যা আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা প্রদান করে।
পাসপোর্টের আবেদন পদ্ধতি
বাংলাদেশে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এটি বর্তমানে অনলাইন এবং ম্যানুয়াল উভয় প্রক্রিয়াতেই সম্ভব। ই-পাসপোর্ট এবং সাধারণ পাসপোর্ট উভয়ের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াটি কিছুটা ভিন্ন।
সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন:
- ১. প্রথমে পাসপোর্ট অফিস থেকে একটি নির্ধারিত ফর্ম সংগ্রহ করতে হবে অথবা অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে।
- ২. আবেদনকারীর ছবি, নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ করতে হবে।
- ৩. ফর্মটি পূরণ করার পরে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করতে হবে এবং প্রাপ্ত রসিদটি সংরক্ষণ করতে হবে।
- ৪. নির্ধারিত তারিখে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি তোলা এবং অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন:
ই-পাসপোর্টের জন্য সম্পূর্ণ আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইন এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।
- ১. পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদনকারীকে অনলাইন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
- ২. ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি এবং বায়োমেট্রিক ডেটা সংরক্ষণ করার জন্য একটি নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট অফিসে উপস্থিত হতে হবে।
- ৩. নির্ধারিত ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী হওয়ায় ই-পাসপোর্টের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ই-পাসপোর্ট এবং সাধারণ পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য
ই-পাসপোর্ট এবং সাধারণ পাসপোর্টের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে যা পাসপোর্ট প্রকার বাছাইয়ের সময় বিবেচনা করা উচিত।
- সাধারণ পাসপোর্ট: এটি সাধারণ কাগজপত্রে তৈরি এবং এতে সাধারণ নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যুক্ত থাকে। যারা সাধারণ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট করতে চান তাদের জন্য এটি একটি সহজলভ্য অপশন।
- ই-পাসপোর্ট: ই-পাসপোর্ট একটি আধুনিক প্রযুক্তি যেখানে একটি ইলেকট্রনিক চিপের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে। এতে আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিস স্ক্যান এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের মতো বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকে। এটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং নিরাপদ যাত্রার জন্য অধিক উপযোগী।
ই-পাসপোর্টে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বেশি থাকায় এটি সাধারণ পাসপোর্টের চেয়ে অধিক জনপ্রিয়। তবে যারা সাধারণভাবে ভ্রমণ করেন না তাদের জন্য ই-পাসপোর্ট প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ডকুমেন্টস
পাসপোর্ট আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র ও ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। নিচে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের একটি তালিকা দেওয়া হলো:
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID): আবেদনকারীর নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য এটি আবশ্যক।
- জন্ম সনদ: জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে জন্ম সনদ জমা দেওয়া যাবে।
- নাগরিকত্ব সনদ: গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজন হতে পারে।
- ব্যক্তিগত ছবি: নির্ধারিত মানের ছবি প্রদান করতে হয় (ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ছবি তোলার প্রক্রিয়া পাসপোর্ট অফিসেই সম্পন্ন হয়)।
- ফি পরিশোধের রসিদ: আবেদন প্রক্রিয়ায় ফি পরিশোধের রসিদ সংরক্ষণ করতে হবে যা পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়ও কাজে লাগে।
এই ডকুমেন্টগুলো ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হয় না। সঠিক ডকুমেন্ট সরবরাহ নিশ্চিত করা আবশ্যক যাতে কোনো প্রকার বিলম্ব এড়ানো যায়।
সাধারণ সমস্যাবলী এবং প্রতিকার
পাসপোর্ট তৈরি ও ডেলিভারি প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যা আবেদনকারীদের জন্য অসুবিধাজনক হয়ে ওঠে। নিচে কিছু সাধারণ সমস্যা এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
- বিলম্বে ডেলিভারি: অনেক সময় পাসপোর্ট ডেলিভারি সময়ের বাইরে চলে যায়। এই সমস্যা সাধারণত অফিসিয়াল জটিলতা এবং আবেদনকারীর তথ্যের ভুলের কারণে ঘটে।
- প্রতিকার: ডেলিভারি বিলম্ব হলে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে বা ওয়েবসাইটে আবেদনকৃত পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করতে হবে।
- অপুষ্ট ডকুমেন্ট: পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার সময় কিছু ডকুমেন্ট সংযোজন না করলে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।
- প্রতিকার: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আগে থেকে ভালোভাবে যাচাই করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে হবে।
- তথ্যগত ভুল: আবেদনকারীর নাম জন্ম তারিখ ইত্যাদি ভুল থাকলে পাসপোর্ট তৈরি করতে সমস্যা হয়।
- প্রতিকার: সকল তথ্য সাবধানে যাচাই করে এবং ফর্ম পূরণে মনোযোগী হওয়া উচিত।
সঠিকভাবে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা হলে পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব এড়ানো যায়।
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পাসপোর্ট তথ্য ও আবেদন
বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব। পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া এবং তথ্য অনুসন্ধানের জন্য কিছু নির্ভরযোগ্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে:
- বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর: https://www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটটি বাংলাদেশ সরকারের অফিসিয়াল পোর্টাল যেখানে পাসপোর্ট আবেদন, ফি এবং অন্যান্য সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
- অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও হেল্পলাইন: পাসপোর্ট অফিসের ফেসবুক পেজ থেকে নিয়মিত আপডেট এবং গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা জানতে পারেন।
- বিশ্বস্ত সূত্র থেকে তথ্য গ্রহণ করলে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায় এবং প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব।
উপসংহার – পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
পাসপোর্ট তৈরি প্রক্রিয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি অপরিহার্য সেবা যা আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং প্রবাসীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে বাংলাদেশে পাসপোর্ট তৈরি এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ ডকুমেন্ট এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট চালু করা হয়েছে তাই সাধারণ পাসপোর্ট এবং ই-পাসপোর্টের মধ্যে পার্থক্য বুঝে নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ দুবাই ভিসার দাম কত
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট করতে চান তবে বর্তমান প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন এবং ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করুন। এছাড়া আপনার নিজের প্রয়োজন এবং ভ্রমণের ফ্রিকোয়েন্সি বিবেচনা করে পাসপোর্ট প্রকার বেছে নিন। আশা করি এই গাইডটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।